আন্দোলনের জেরে নিরাপত্তা-তৎপরতা বিশ্বভারতীতে। নিজস্ব চিত্র।
তিন ছাত্রকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলেন বিশ্বভারতীয় পড়ুয়ারা। শুক্রবার রাতভর দফায় দফায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে ঘেরাও এবং অবস্থান বিক্ষোভ করলেন তাঁরা। শনিবারও চলছে আন্দোলনের কর্মসূচি। বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠনও এগিয়ে এসেছে পড়ুয়াদের আন্দোলনের সমর্থনে।
শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী সংগঠন প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী সংগঠন। সেখানে হাজির দু’জন আধিকারিককে ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। তবে রাত ১০টা নাগাদ তন্ময় নাগ এবং দেবাশিস রায় জোর করে ঘেরাও ভেঙে বাইরে বেরোন বলে অভিযোগ। সে সময় তাঁরা আন্দোলনরত পড়ুয়াদের কয়েক জনকে গাড়ি চালিয়ে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানায় ইমেলে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এর পর আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে চলে আসেন। সারা রাত ধরে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। বিশ্বভারতীয় শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য শনিবার বলেন, ‘‘আমরা উপাচার্যের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরোধী। তাঁর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের আন্দোলনে আমাদের সমর্থন রয়েছে।’’
দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের লক্ষ্যে শনিবার উপাচার্য গৃহের সামনে অস্থায়ী বাঁশের তৈরি মঞ্চ তৈরি করছেন পড়ুয়ারা। অন্য দিকে, বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের তরফে উপাচার্য গৃহ এবং আশপাশে ১৭টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সংখ্যা বেড়েছে নিরাপত্তারক্ষীর তবে এ বিষয়ে উপাচার্য বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।