উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের ব্যানার। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে ‘অনৈতিক ভাবে’ বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়াদের একাংশ। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের মূল গেটে ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে সোমবার নিরপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। সে সময় নিরাপত্তারক্ষীরা শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর দুই ছাত্রীর। সেন্ট্রাল অফিসের বলাকা গেটেরও সামনেও মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে মিছিল করবে এসএফআই। সেই মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা ঐশী ঘোষ, বাদশা মৈত্রের।
উপাচার্যের বাসভবনের গেটে ব্যানার লাগানোর সময় নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। সায়নী চক্রবর্তী এবং শ্রেয়া চক্রবর্তী নামের দুই ছাত্রী সোমবার রাতে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিনিকেতন থানায়। অভিযোগের কপি পাঠানো হয়েছে বীরভূমের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককেও। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্যের মদতেই শ্লীলতাহানি করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মহিলা নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ছাত্রীদের আটকানোর চেষ্টা করেছে পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীরা।
ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলন শুরু করতেই সেন্ট্রাল অফিসের বলাকা গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ওই গেট দিয়েই যেতে হয় পূর্বপল্লী এবং শান্তিনিকেতন থানায়। গেট বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ এবং আবাসিকরা যাতায়াত করতে পারছেন না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীরা এত দিন ওই গেট দিয়ে যাতায়াত করছিলেন। মঙ্গলবার ওই গেটে বিক্ষোভ দেখিয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা নন, কর্তৃপক্ষ বন্ধ করেছেন ওই গেট। তাঁদের আরও দাবি, সাধারণ মানুষ যেতে না পারলে অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীদেরও যেতে দেওয়া হবে না সেখান দিয়ে।
বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের আন্দোলন মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে পড়েছে। তাঁদের সমর্থনে ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন ছাত্র ও অধ্যাপক সংগঠন, ব্যবসায়ী সমিতি, আলাপিনী মহিলা সমিতিও। সোমবার পড়ুয়াদের সমর্থনে মিছিল করে বোলপুর নাগরিক সমিতি। মঙ্গলবার বোলপুর স্টেশন থেকে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত মিছিল করবে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বেলা ১টায় শুরু হবে সেই মিছিল।