এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রোজকার মতো কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফিরছিল। আচমকাই পথ আটকান দুই যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নাবালিকার মুখে কাপড় বেঁধে দেন তাঁরা। অভিযোগ, রাস্তার মধ্যেই ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে এলাকা ছাড়েন দুই অভিযুক্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বীরভূমের দুবরাজপুরে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে কোচিং ক্লাসে গিয়েছিল নির্যাতিতা। সন্ধ্যা নাগাদ বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সে। মাঝপথে বান্ধবীকে ছেড়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। অভিযোগ, সে সময়ই তার পথ আটকান স্থানীয় দুই যুবক। তার পর তাকে জোর করে ফাঁকা অন্ধকার রাস্তায় টেনে নিয়ে যান। যাতে নির্যাতিতা চিৎকার করতে না পারে সে জন্য মুখে কাপড় বেঁধে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরই তাকে দু’জন মিলে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে নাবালিকা কোনওক্রমে মুখের বাঁধন খুলে ফেলে চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনেই স্থানীয়েরা ছুটে এসে উদ্ধার করেন নাবালিকাকে।
দুবরাজপুর থানায় অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, নাবালিকা বাধা দিলে তাকে দুই অভিযুক্ত মিলে মারধর করে। এমনকি, তার পোশাকের একাংশ ছিঁড়েও ফেলা হয়। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক দুই অভিযুক্ত। তাঁদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সোমবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা।