Allegation of Attempt to Rape

মালদহে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার! কালীপুজোর পর থেকে এখনও অধরা

মালদহ জেলার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে গ্রামেরই এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা। স্থানীয় থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশ সুপারকেও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৬
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মালদহে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছিল কালীপুজোর রাতে (গত বৃহস্পতিবার)। গৃহবধূ তখন বাড়িতে একাই ছিলেন। অভিযোগ, রাত ন’টা নাগাদ ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর বাড়িতে জোর করে প্রবেশ করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরিবারের দাবি, মহিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে দিয়ে এগিয়ে যেতেই অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরের দিন (শুক্রবার) স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত।

Advertisement

গৃহবধূর দাবি, তাঁর চিৎকারের শব্দে প্রতিবেশীরা বাড়ির দিকে এগিয়ে আসেন। তা দেখে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সেখান থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু এর পরে অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা গৃহবধূর পরিবারের উপর চড়াও হন এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের পাশাপাশি আরও দু’জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পরে তা প্রত্যাহারের জন্যও অভিযুক্তের পরিবার চাপ দিচ্ছিল বলে দাবি গৃহবধূর। স্থানীয় থানার বিরুদ্ধেও তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ মহিলার। থানায় অভিযোগ গ্রহণের পরেও শুরুতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি তাঁর।

স্থানীয় থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোমবার মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানা থেকেও এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও পুলিশের একটি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত এবং ওই মহিলা পূর্ব পরিচিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোনও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

এর আগে দেখা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। এর পর মালদহের এই ঘটনায় আবারও সিভিক-যোগ উঠে আসায় ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসনকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপির মালদহ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। কেন পুলিশ এখনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টব্যমূলক পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উজ্জ্বলের। যদিও তৃণমূলের মালদহ জেলার মুখপাত্র আশিস কুনডুর দাবি, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইন মেনেই পুলিশ কাজ করছে।

আরও পড়ুন
Advertisement