সিউড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় অগ্নিমিত্রা। নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নেটমাধ্যমে একটি পোস্টকে ঘিরে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে বীরভূম জেলা সাইবার ক্রাইম পুলিশ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সিউড়ির সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে হাজিরা দিলেন বিজেপি-র রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা।
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা হাজিরার পর বলেন, ‘‘ভোটের ফল বের হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বীরভূমেও একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় নানুরে বিজেপি-র কয়েক জন মহিলা কর্মী-সমর্থক ধর্ষণ অথবা গণধর্ষণের শিকার হন। বিষয়টি নিয়ে আমি একটি টুইট করেছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে সাইবার সেল পুলিশ মামলা রুজু করেছে।’’
অগ্নিমিত্রা জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল কোন তথ্যের ভিত্তিতে তিনি এই টুইট করেছেন। তার উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হওয়ার কারণে নির্যাতিতা মহিলারাই তাঁকে ফোন করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে তিনি ওই টুইট করেছিলেন।
বীরভূম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০১, ৫০২, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে সে সময় বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে থাকলেও ধর্ষণ বা গণধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নানুরের এক মহিলাকে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে এনে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। নেটমাধ্যমে ওই মহিলার ছবি দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, তিনি গণধর্ষণের শিকার। কিন্তু ওই মহিলা তৃণমূল দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, তাঁকে কেউ ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন করেনি। বিজেপি সমর্থক হওয়ার কারণে ভোটের ফল প্রকাশের পর তিনি ভয়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন।