নরেন্দ্র মোদী, ধ্যানচন্দ এবং রাজীব গাঁধী। ফাইল চিত্র।
‘রাজীব গাঁধী খেলরত্ন পুরস্কার’-এর নাম বদলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন নাম হচ্ছে ‘মেজর ধ্যানচন্দ খেলরত্ন পুরস্কার’। শুক্রবার এ কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ধ্যানচন্দকে বলা হয় ‘হকির জাদুকর’। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় পুরুষ হকি দল ব্রোঞ্জ জেতার পরের দিনই খেলরত্ন পুরস্কারের নাম ধ্যানচন্দের নামে করার কথা ঘোষণা করলেন মোদী। শুক্রবার করা টুইটে মোদী লিখেছেন, ‘খেলরত্ন পুরস্কারের নাম মেজর ধ্যানচন্দের নামে করার জন্য দেশের প্রচুর নাগরিকের থেকে অনুরোধ পেয়েছিলাম। মতামত জানানোর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের ভাবাবেগকে সম্মান দিয়ে, খেলরত্ন পুরস্কারকে মেজর ধ্যানচন্দ খেলরত্ন পুরস্কার হিসাবে ডাকা হবে।’ অপর একটি টুইটে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে ধ্যানচন্দের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদী।
I have been getting many requests from citizens across India to name the Khel Ratna Award after Major Dhyan Chand. I thank them for their views.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 6, 2021
Respecting their sentiment, the Khel Ratna Award will hereby be called the Major Dhyan Chand Khel Ratna Award!
Jai Hind! pic.twitter.com/zbStlMNHdq
Major Dhyan Chand was among India’s foremost sportspersons who brought honour and pride for India. It is fitting that our nation’s highest sporting honour will be named after him.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 6, 2021
ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য ভারত সরকারের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার হল খেলরত্ন। ১৯৯১-৯২ সালে প্রথমবার দেওয়া হয়েছিল এই পুরস্কার। তা পেয়েছিলেন দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ। ক্রিকেটার হিসাবে এই পুরস্কার প্রথম পান সচিন তেন্ডুলকর। ২০২০ সালে শেষবার দেওয়া হয়েছে তা। শুরুর সময় থেকেই এই পুরস্কারের নাম ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর নামে। প্রায় ৩০ বছর পর পরিবর্তন এল সেই নামে।
চলতি টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছে মনপ্রীত সিংহের ভারত। দীর্ঘ ৪১ বছরের খরা কাটিয়ে দেশকে পদক এনে দিয়েছেন পিআর শ্রীজেশ, হরমনপ্রীত সিংহরা। রানি রামপালের মহিলা দলও লড়াই করেছে। শুক্রবার গ্রেট ব্রিটেনের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার জন্য ব্রোঞ্জ জেতা হয়নি। তবে সবিতা পুনিয়াদের লড়াকু মনোভব গোটা দেশের মন জিতে নিয়েছে। তাই ধ্যানচন্দকে সম্মান জানানোর জন্য এমন বিশেষ দিনকে বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।