Cyclone Gulab

Cyclone Gulab: উপকূলের জেলায় শুরু মাইকে প্রচার, তৈরি ত্রাণ শিবিরও

ইয়াসের ধাক্কা পুরোপুরি সামলে ওঠার আগেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। প্রশাসনও আগাম প্রস্তুত। ব্লকে ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:০৩
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এ বার ধেয়ে আসছে ‘গুলাব’। এই ঘূর্ণিঝড় মূলত ওড়িশা ও অন্ধপ্রদেশে প্রভাব ফেলবে বলেই পূর্বাভাস। তবে দুর্যোগের আশঙ্কা থাকছে এ রাজ্যের উপকূলেও। সেই মতো উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে প্রশাসন। ওড়িশা লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্লকগুলিতেও সতর্কতা জারি হয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে দিঘা, মন্দারমণি-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের গোটা উপকূলে আকাশের মুখ ছিল ভার। দুপুরের দিকে মেঘ কেটে রোদের দেখা মিললেও সমুদ্র দিনভর অশান্ত ছিল। পর্যটকেরা যাতে সমুদ্রস্নানে না নামেন তা দেখতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন ছিল সৈকতে। দিঘা, মন্দারমণি এবং তাজপুরে পুলিশের তরফে দিনভর মাইকে প্রচার চলেছে। মৎস্যজীবীদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।

Advertisement

ইয়াসের ধাক্কা পুরোপুরি সামলে ওঠার আগেই আবার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। প্রশাসনও আগাম প্রস্তুত। ব্লকে ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এ দিন বিকেলে উপকূলবর্তী কাঁথি মহকুমার সাতটি ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। রবিবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পৌঁছনোর কথা রামনগরে। এখনও বাসিন্দাকে সরানো হয়নি। তবে সব প্রস্তুতি সেরে রাখা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয় রুখতে এ দিন থেকেই বিদ্যুতের তার সংলগ্ন বড় গাছের ডাল ছাঁটা হচ্ছে। রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।’’

দুই ২৪ পরগনায় দুর্বল বাঁধগুলি মেরামত করা হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রশাসন মাইকে প্রচার করছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা গভীর সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরানো হচ্ছে। ফ্লাড শেল্টার-সহ একাধিক স্কুল ভবনকে ত্রাণ শিবির হিসাবে তৈরি রাখা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথনও এ দিন সব দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিদ্যুৎ দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতে যেন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণহানি না হয়। সব ব্লক ও পঞ্চায়েতে পর্যাপ্ত পানীয় জল, চাল, ত্রিপল মজুত রাখতে বলা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপরে নজর রাখতে সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয়সাধন করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’’

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে ওড়িশা লাগোয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর, দাঁতন ও কেশিয়াড়িতে। শনিবার থেকেই এই সব এলাকায় প্রশাসন মাইক প্রচার করে বাসিন্দাদের সতর্ক করছে। রবিবার ও সোমবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা। তাই কাঁচা বাড়ি থেকে লোকজনকে সরতে বলা হয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে ত্রাণ সামগ্রী মজুত। দাঁতন ১ ও কেশিয়াড়ি ব্লকের সুবর্ণরেখার তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement