Partha Chatterjee Health Update

পার্থের শারীরিক অবস্থার অবনতি! কিডনি, ফুসফুসে সমস্যা, আইসিসিইউতে রাখা হল প্রাক্তন মন্ত্রীকে

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গত ২০ জানুয়ারি পার্থকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তাঁর কিডনি এবং ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০১
এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমের আইসিসিইউতে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে খবর। শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই পার্থকে আইসিসিইউতে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গত ২০ জানুয়ারি পার্থকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হল।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থের কিডনি এবং ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও গোলমাল হচ্ছে। ওঠানামা করছে পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণ। আইসিসিইউতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁকে নজরে রেখেছেন।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ গত আড়াই বছর ধরে জেলে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির পাশাপাশি পরে সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হন পার্থ। জেলের ভিতর একাধিক বার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গ্রেফতারির পর ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে গিয়েও তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ইডি। একাধিক বার তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদনও করেছেন আদালতে। জেল হাসপাতাল থেকে গত সোমবার পার্থকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, পার্থের বিবিধ শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর শরীর স্থূল। ফলে সেই সংক্রান্ত কিছু সমস্যা বরাবরই রয়েছে। তবে জেলবন্দি হওয়ার পর থেকেই পায়ের সমস্যাতেও ভুগছেন পার্থ। তাঁর ‘রুটিন চেকআপ’ও করা হয় প্রতি মাসে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর। জেলের মধ্যেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ এসএসকেএমে জানানো হয়। এর পর সোমবার হঠাৎ জেলে অসুস্থ বোধ করলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন এবং এসএসকেএমে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই পার্থকে জামিন দিয়েছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, শর্তসাপেক্ষে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জামিন পাবেন পার্থ। চার্জ গঠন এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ করা হয়ে গেলে তার আগেও জামিন পেতে পারেন তিনি। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশই সোমবার কার্যকর করে বিচারভবন। কিন্তু সিবিআইয়ের মামলায় এখনও পার্থের জামিন হয়নি। ফলে এখনই তাঁর জেলমুক্তির সম্ভাবনা নেই।

Advertisement
আরও পড়ুন