bomb blast

আমবাগানে বিস্ফোরণ, মৃত্যু মুর্শিদাবাদে, বোমা বাঁধতে গিয়েই মৃত তৃণমূল কর্মী, অভিযোগ কংগ্রেসের

শনিবার সকাল থেকে বেলডাঙার কাপাসডাঙা এলাকায় একটি আমবাগানে জনা দশেক দুষ্কৃতী বোমা বাঁধছিল। সেই সময় অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটে যায়। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ১২:৪৭
One died by bomb blast at Beldanga of Murshidabad

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বোমা ফেটে আবার মৃত্যুর অভিযোগ। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই এলাকায় পাটক্ষেতের পাশে একটি আমবাগানে চলছিল বোমা বাঁধার কাজ। তা থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে হাতশিবিরের দাবি। কংগ্রেসের অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের হাত। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে বেলডাঙার কাপাসডাঙা এলাকায় একটি আমবাগানে জনা দশেক দুষ্কৃতী বোমা বাঁধছিল। সেই সময় অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ ঘটে যায়। বিস্ফোরণে তিন জন আহত হন বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আলিমকে বেলডাঙা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। আহত বাকি দুই যুবকের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচতে তাঁদের অন্য কোথাও লুকিয়ে ফেলা হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আলিমের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত আলিম শেখ বেলডাঙার নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement

এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের অভিযোগ, ‘‘যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি বোমা বাঁধার শ্রমিক। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হয়ে কাজ করছিলেন। পাড়ায় পাড়ায় বোমা মজুত করা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ নিষ্ক্রিয়।’’

তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের দাবি, ‘‘কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলকে যুক্ত করে দেওয়ার প্রবণতা আসলে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অবিলম্বের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’’

শুক্রবার রাতে বোমাবাজি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের গোধনপাড়া। সেখানে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের মাথা ফেটে গিয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রুট মার্চও করেন পুলিশকর্মীরা। ওই ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement