Alipurduar

এলাকায় হানা ‘পথভোলা’ দুই হাতির, আতঙ্ক

আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জের সেই এলাকাগুলিতেই তাণ্ডব চালাল দু’টি ‘পথভোলা’ বুনো হাতি।

Advertisement
সৌম্যদ্বীপ সেন
হ্যামিল্টনগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৯
হাতির হানায় দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে দোকানের সামনের অংশ। কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জ হাটখোলা এলাকায়।

হাতির হানায় দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে দোকানের সামনের অংশ। কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জ হাটখোলা এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

ক্ষতি তো দূরস্থান, গত দু-চার বছরে এলাকায় দেখাই মেলেনি হাতির। সোমবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জের সেই এলাকাগুলিতেই তাণ্ডব চালাল দু’টি ‘পথভোলা’ বুনো হাতি। হ্যামিল্টনগঞ্জের নেতাজিপল্লি, হাটখোলা-সহ একাধিক এলাকা দাপিয়ে বেড়াল তারা। তছনছ করে একাধিক দোকান।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত মে মাসে হ্যামিল্টনগঞ্জের ডিপোপাড়ায় হাতি তাণ্ডব চালালেও সেটা ছিল হ্যামিল্টনগঞ্জের প্রধান সড়কের অপর প্রান্তে। এ দিন যে এলাকাগুলোতে হাতি হানা দেয়, সেখানে গত দু-চার বছরের মধ্যে হাতি আসেনি। গ্রামবাসীরা বলেছেন, ‘‘ক্ষতি তো দূরে থাক, গত কয়েক বছরে এই নেতাজিপল্লি, হাটখোলার মতো জায়গায় হাতি ঢোকেনি। সোমবার রাতে আচমকা হাতির হানায় সকলেই আতঙ্কে রয়েছি।’’ বন দফতর সূত্রে খবর, খবর পেয়ে বনকর্মীরা আসার আগেই এলাকা ছেড়ে জঙ্গলে ঢুকে যায় হাতি দু’টি। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা হরি কৃষ্ণণ বলেন, ‘‘হাতি দু’টি রাস্তা ভুলেই ওই এলাকায় গিয়েছিল বলে আমাদের ধারণা।’’

স্থানীয় এক বাসিন্দা কিশোর ছেত্রী বলেন, ‘‘গভীর রাতে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমার। বিছানা থেকে উঠে বাইরে বেরোতেই দেখি, আমার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দুটো হাতি। দোকানের সামনের অংশটা পুরো দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে। আমার পাশের দোকানটিতেও হানা দিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমরা প্রত্যেকে খুব আতঙ্কে রয়েছি।’’

এই হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকার কিছুটা দূরে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থাকলেও, সচরাচর এই এলাকায় আসে না হাতি। নিমতি রেঞ্জ সংলগ্ন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে হাতি দু’টি এসে হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের জঙ্গলে প্রবেশে করেছে বলে অনুমান বন দফতরের। বন দফতরের দাবি, যে দু’টি হাতি রবিবার রাতে ঢুকে পড়েছিল, তারা মূলত রাস্তা ভুলেই এই এলাকায় প্রবেশ করেছে। কারণ, নিমতি রেঞ্জের দিক থেকে যে হাতিগুলি হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের দিকে আসে, তারা মূলত লতাবাড়ি, সাতালি হয়েই জঙ্গলে প্রবেশ করে। এই দুই হাতি সম্ভবত প্রথম এই করিডোর দিয়ে যাতায়াত করেছে। তারা রাস্তা ভুলে হ্যামিল্টনগঞ্জের একাধিক গ্রামে ঢুকে পড়ে। সোমবার রাতের ওই ঘটনার পর হ্যামিল্টনগঞ্জ এলাকায় নজরদারি আরও বাড়িয়েছে বন দফতর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এক আধিকারিক অর্নব দাস বলেন, ‘‘আমাদের বনকর্মীদের একটি দল রাতে হ্যামিল্টনগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি চালাবে। নজরদারিতে কোনও ত্রুটি আমরা রাখছি না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement