ছবি: সংগৃহীত।
মিশর মানেই রহস্যে মোড়া ইতিহাস। প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে সব সময়ই রহস্য রয়েছে এই দেশকে ঘিরে। প্রায়ই নতুন কিছু আবিষ্কার হয় মিশরের মাটিতে। ঠিক এমনই এক রহস্যময় আধারের সত্য আবিষ্কার করলেন ফ্লরিডার গবেষক ডেভিড তানাসি। প্রায় দু’হাজার বছরের একটি পাত্র পরীক্ষা করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন তিনি। গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, ভ্রম ঘটাতে পারে এমন উত্তেজক পানীয় সেই সময়ে মিশরে তৈরি হত। এই ধরনের আধারে রাখা হত সেই পানীয়। এই পানীয় তন্ত্রমন্ত্র ও জাদুবিদ্যায় ব্যবহার করা হত বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।
তানাসি এবং তাঁর দল ২০২১ সাল থেকে এই পাত্রটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে টাম্পা মিউজিয়াম অফ আর্টকে এই পাত্রটি দেওয়া হয়ছিল। গোলাকার এই পাত্রের গায়ে প্রাচীন মিশরীয় দেবতার মুখ খোদাই করা রয়েছে। এই দেবতাকে অনেক মিশরীয় দম্পতি উর্বরতা এবং সন্তান জন্মদানের জন্য পুজো করতেন। তানাসি প্রথমে ভেবেছিলেন, এটি একটি সুরাপাত্র। পরে পাত্রের ভিতরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার নমুনার ডিএনএ ও রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে তাঁরা জানতে পারেন, পানীয়টি আসলে একটি ‘ককটেল’ বা একাধিক উপাদানের মিশ্রণ ছিল যার মধ্যে নানা অদ্ভুত ও বিরল পদার্থও ছিল। রু নামের একটি বিষাক্ত গাছ, লিলি, ক্লেওম, পাইনের বীজ, পাইন তেল, মধু ছাড়াও স্তন্যদুগ্ধ, রক্ত ও লালার নমুনা মিলেছে সেই পাত্রে।