Gautam Adani in Bribery Case

ঘুষ দেওয়া নয়, আদানিদের বিরুদ্ধে আমেরিকায় অন্য তিনটি অভিযোগ রয়েছে! বিবৃতিতে দাবি শিল্পগোষ্ঠীর

অভিযোগ, সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের ২২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আদানিরা। তবে এমন কোনও অভিযোগের কথা অস্বীকার করল আদানি গোষ্ঠী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৪
গৌতম আদানি।

গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকায় গৌতম আদানি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগই ওঠেনি! বুধবার একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই দাবি করল আদানি শিল্পগোষ্ঠী। তবে আমেরিকার ন্যায়বিচার দফতর শিল্পপতি গৌতম আদানি, তাঁর ভাইপো সাগর আদানি এবং সংস্থার অন্যতম শীর্ষকর্তা বিনীত জৈনকে অন্য তিনটি অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এ-ও দাবি করা হয়েছে যে, আদানি শিল্পগোষ্ঠী বিদেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত আইন (এফসিপিএ) ভঙ্গ করেনি।

Advertisement

তা ছাড়া ঘুষকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করা হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর ওই বিবৃতিতে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) এবং ন্যায়বিচার দফতর গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, তাঁরা ২৬.৫ কোটি ডলার বা (প্রায় ২২৩৭ কোটি টাকা) ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত আদায় করেছিলেন। বলা হয়, আদানিদের এর থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল।

ঘুষ দিয়ে বরাত আদায়ের তথ্য গোপন রেখে এই প্রকল্পের জন্য আদানি গ্রিন সংস্থা ঋণপত্রের (বন্ড) মাধ্যমে লগ্নিকারীদের থেকে ৭৫ কোটি ডলার (প্রায় ৬৩৩৮ কোটি টাকা) ঘরে তুলেছিল বলে অভিযোগ। এর মধ্যে আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার তোলা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। তারা আমেরিকার সহযোগী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সে দেশের লগ্নিকারীদের থেকে টাকা তুলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। বিধি অনুযায়ী, কোনও সংস্থা আমেরিকার শেয়ার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে তাঁরা সে দেশের সমস্ত আইন মেনে চলতে বাধ্য। এ ক্ষেত্রে আদানিরা ঘুষের টাকার একাংশ আমেরিকার বাজার থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ, যা বেআইনি। ফলে দায়ের হয় মামলা। আদানি গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে।

বুধবার আরও এক ধাপ এগিয়ে শিল্পগোষ্ঠীটি দাবি করল, তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগই ওঠেনি। তবে অন্য তিন অভিযোগের কথা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি শেয়ার বাজারের নিরাপত্তাভঙ্গের ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement