আবার পাহাড়ে ওঠার আগে থমকে গেল টয় ট্রেন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বছর শেষ দিনেও বিঘ্নিত হল টয় ট্রেন পরিষেবা। পর্যটনের ভরা মরসুমে যাত্রী পরিষেবা ব্যাঘাত ঘটায় দুঃখপ্রকাশ করলেন কর্তৃপক্ষ। শৈলশহরে পৌঁছতে না পেরে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিয়ে দিল রেল।
প্রতি দিনের মতো মঙ্গলবার সকালে দু’টি বগিতে ৩৭ জন পর্যটককে নিয়ে দার্জিলিঙের দিকে রওনা দেয় একটি টয় ট্রেন। এনজেপি স্টেশন ছেড়ে শিলিগুড়ি জংশন পেরিয়ে পাহাড়ের ঢালে উঠতেই থমকে যায় টয় ট্রেনের চাকা। বিকল হয়ে যায় টয় ট্রেনের ইঞ্জিন। ট্রেন থেকে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পর্যটকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের পদস্থ আধিকারিকেরা। নিয়ম অনুযায়ী, টয় ট্রেন যাত্রায় এ ভাবে মাঝপথে ইঞ্জিনের গোলযোগ বা অন্য কোনও দুর্ঘটনা হলে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা রেলই করে দেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের বিক্ষোভের কারণে সেই সুযোগও পাননি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তখন পর্যটকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। মাঝপথ থেকেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গন্তব্যে যান যাত্রীরা। গোলযোগ নিয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, ‘‘ডিজেল ইঞ্জিন দুটি বগিতে অন্তত ৩৭ জন যাত্রী নিয়ে দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল টয় ট্রেন। কিন্তু কম্প্রেসার বিকল হওয়ায় ইঞ্জিনটি বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলা হলেও তাঁরা টাকা ফেরতের আর্জি জানান। সেই মোতাবেক সকলের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’’
গত কয়েক মাসে বার বার ধসের কারণে বন্ধ থেকেছে টয় ট্রেন পরিষেবা। নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে প্রায় ছ’মাস পরে আবার যাত্রা শুরু করে টয় ট্রেন। কিন্তু ১৭ নভেম্বরই ইঞ্জিন বিকলের ফলে পাহাড়ি পথে থমকে যায় ‘খেলনা ট্রেন’। রেলের পক্ষ থেকে সে সময় কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আবার এক বার একই ঘটনা ঘটার পর পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পর্যটকেরা।