নির্মাণ। ফুটপাত থেকে শুরু করে সরকারি জমিতে তৈরি হওয়া ওই সব নির্মাণ ভাঙার ‘অভিযান’ শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ি শহরের আনাচে-কানাচে তৈরি হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ। ফুটপাত থেকে শুরু করে সরকারি জমিতে তৈরি হওয়া ওই সব নির্মাণ ভাঙার ‘অভিযান’ শুরু করেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে অশান্তি। বাড়ি ভাঙতে গিয়ে নির্মাণ সংস্থার মালিকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন পুর কর্মীরা। যদিও মেয়র গৌতম দেব সাফ জানিয়েছেন, অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে এই অভিযান হবেই। প্রয়োজন হলে তিনি মামলা লড়বেন।
সোমবার হিলকার্ট রোডের একাধিক নির্মাণ ভাঙতে সেখানে পৌঁছে যান পুরনিগমের কর্মীরা। অভিযোগ, সেখানেই চড়াও হয় নির্মাণসংস্থার মালিকপক্ষ। পুরনিগমের কর্মীদের গালাগালি করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। নির্মাণ মালিকদের বক্তব্য, ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের দোকান রয়েছে এলাকায়। সেই সব নির্মাণের বৈধ কাগজ দিয়েছে পুরসভা। তা হলে হঠাৎ করে কেন সেই সব দোকান ভাঙা হচ্ছে? এ নিয়ে মেয়র বলছেন, ‘‘শহরে শতাধিক অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।’’
ওই নির্মাণগুলোর মালিকদের আবার অভিযোগ, এই গোটা বিষয়টাই আদালতের বিচারাধীন। তাদের কোনও প্রকার নির্দেশিকা না দিয়ে বাড়ি-দোকান ইত্যাদি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পুরনিগম বেআইনি কাজ করছে বলে অভিযোগ তোলেন একটি বাড়ির মালিক রাজেশ্বর গুপ্ত।
অন্য দিকে মেয়র বলেন, ‘‘এ নিয়ে আদালতের কোনও স্থগিতাদেশ নেই। তবে পুরসভার অভিযান নিয়ে নির্মাণ মালিকরা চাইলে আদালতে যেতেই পারেন। কিন্তু শহরে অবৈধ নির্মাণ যে কোনও প্রকারে বন্ধ করতে হবে। ওই সব বাড়ি নিয়ে মালিকদের ৩টি নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নোটিসকে অগ্রাহ্য করেই নির্মাণ হচ্ছে। আইন না মেনে কেউ যদি গায়ের জোরে কাজ করেন, সেই অন্যায় মনোভাবকে কোনও ভাবে প্রশয় দেব না।’’ তিনি এ-ও বলেন, ‘‘পুরনিগম যদি অবৈধ কাজ করে বলে মনে করে মালিকপক্ষ, তবে তারা আদালতে যাক৷ আমি নিজে আইনের ছাত্র। প্রয়োজনে আমি নিজে সেই মামলা লড়ব।’’
পাশাপাশি পুরকর্মীদের উপর হাতাহাতির বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘‘যাঁরা এত আদালতের কথা বলছেন, তাঁরা আইন কেন হাতে নিচ্ছেন? সোমবারের ঘটনায় আমরা কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছি না। কিন্তু একই ঘটনা যদি আগামিদিনেও ঘটে, তা হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’