বিস্ফোরণের পর চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে। —নিজস্ব চিত্র।
আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদহের মানিকচক থানার গোপালপুর এলাকা। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও লোকসভা ভোটের মুখে এই বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মঙ্গলবার মালদহের মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলার জেসারত টোলা এলাকা দিনে দুপুরে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ বোমা ফাটানো হয়েছে। বিকট শব্দ শুনে এবং ধোঁয়া দেখে তাঁদের এই অনুমান বলে জানাচ্ছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মানিকচক থানার পুলিশ বাহিনী। তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা তৃণমূলকে দোষারোপ করেছে কংগ্রেস। তৃণমুলের অঞ্চল সভাপতি মহন্মদ নাসির বলেন, ‘‘এলাকায় সন্ত্রাসের ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরি করতে কংগ্রেসিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আমি জানতে পেরেছি, এলাকায় ৪-৫টি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এর আগেও কংগ্রেসের সইফুদ্দিন-সহ তাঁর দলবল এই রকমের ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের কাছে আবেদন জানাব যাতে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে তারা পদক্ষেপ করে।’’ অন্য দিকে, মানিকচক কংগ্রেসের ব্লক কমিটির সদস্য মতিউর রহমান বলেন, ‘‘ভোট আসছে। যাতে কংগ্রেস ভোট করতে না পারে তার জন্য তৃণমূল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের নাম দোষ চাপাচ্ছে। এর আগেও পঞ্চায়েত ভোটে ওরা সন্ত্রাস চালিয়েছিল। আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে কংগ্রেস নেতাদের জেলে পাঠিয়েছে। আমরা জামিনে বাড়ি ফিরে এসেছি। তাই আবার মিথ্যা বলে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। সুরাহা না হলে আন্দোলনে নামব।’’
বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, একটি ফাঁকা মাঠে বিস্ফোরণের খবর পেয়েছেন তাঁরা। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। তিনি বলেন, ‘‘মানিকচক থানার পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে গিয়েছে।’’