Tamim Iqbal

আবার বিতর্কে তামিম, মাঠেই জড়ালেন ঝগড়ায়, কী অভিযোগ বাংলাদেশি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তামিম ইকবালের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে মাঠেই ঝগড়া হয়েছে তাঁর। হেলসকে কী বলেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২১
cricket

তামিম ইকবাল। —ফাইল চিত্র।

সদ্য অবসর নিয়েছেন তিনি। আর বাংলাদেশের জার্সিতে কোনও দিন খেলতে দেখা যাবে না তামিম ইকবালকে। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যাচ্ছে না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একটি ম্যাচে অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে মাঠেই ঝগড়া হয়েছে তাঁর। হেলসের অভিযোগ, তামিম তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। পাল্টা অভিযোগ করেছেন তামিমও।

Advertisement

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুর রাইডার্স বনাম ফরচুন বরিশালের খেলা ছিল। বরিশালের অধিনায়ক তামিম। ম্যাচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৬ রান করতে হত রংপুরকে। কাইল মেয়ার্সের বলে রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ৩০ রান করেন। শেষ বলে দলকে জিতিয়ে যখন তিনি সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস করছেন তখনই দেখা যায় তামিম ও হেলস একে অপরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করছেন। দলের বাকি ক্রিকেটারেরা তাঁদের আলাদা করেন।

পরে হেলস জানিয়েছেন, তাঁর অতীতের মাদক নেওয়ার অভ্যাসের কথা মনে করিয়ে বিদ্রুপ করেছেন তামিম। হেলস বলেন, “তামিম এসে বলে, মাদক নেওয়ায় ইংল্যান্ড দল থেকে নির্বাসিত হওয়ায় কি আমি লজ্জিত। জিজ্ঞাসা করে, আমি কি এখনও মাদক নিই। ও খুব খারাপ ভাবে কথা বলছিল। আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। খেলায় হার-জিত থাকে। তবে এ ভাবে কথা বলা উচিত নয়।”

২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড হেলসকে নির্বাসিত করে। তাঁর মাদক নেওয়ার অভ্যাসের জন্য তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তার আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এক পানশালায় মারামারি করায় নির্বাসিত করা হয়েছিল হেলসকে। তাঁর মাদক-প্রসঙ্গ টেনে বিদ্রুপ করেছেন তামিম, এমনটাই অভিযোগ হেলসের।

পাল্টা অভিযোগ করেছেন তামিমও। তিনি বলেন, “ ও ইমনকে আগে গালাগাল দিয়েছিল। সকলে সেটা দেখেছিল। এই ম্যাচের পরেও যখন ওরা উল্লাস করছে তখনও হেলস আমাকে ও ইমনকে গালাগাল করেছে। ও চাইছিল গন্ডগোল হোক। আমি ইমনের পাশে দাঁড়িয়েছি। ওকে পাল্টা জবাব দিয়েছি। অধিনায়ক হিসাবে এটা আমার কর্তব্য।”

তামিম এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দিকে আঙুল তুলে ২০২৩ সালে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবসর ভাঙেন তামিম। যদিও তার পরেও জাতীয় দলে খেলা হয়নি ৭০টি টেস্ট, ২৪৩টি এক দিনের ম্যাচ ও ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা তামিমের। এ বার আবার অবসর ঘোষণা করেছেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন