Sitai

সিতাইয়ে প্রচারে ‘নেই’ বিজেপি নেতৃত্ব, চর্চা

জেলা বিজেপি অবশ্য দাবি করেছেন, সিতাইয়ে ভোটের প্রচারে তাঁরা বসে নেই। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা মাথায় রেখে ভোট-প্রচারের কৌশল কিছুটা পাল্টানো হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৮
সিতাইয়ে গত বিধানসভা ভোটে দশ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী।

সিতাইয়ে গত বিধানসভা ভোটে দশ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। —প্রতীকী ছবি।

মাদারিহাটে বিজেপির তাবড় নেতারা প্রচারে এলেও এখনও সিতাইয়ে তেমন কোনও নেতা আসছে না কেন? এমনই প্রশ্ন উঠছে বিজেপির অন্দরে।

Advertisement

দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, মাদারিহাট বিজেপির দখলে ছিল। সিতাইয়ে গত বিধানসভা ভোটে দশ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁদের প্রশ্ন, এ বারেও কি পরাজয় ধরে নিয়ে গা বাঁচিয়ে চলেছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। তৃণমূল অবশ্য সিতাইয়ে লাগাতার প্রচার করছে।

জেলা বিজেপি অবশ্য দাবি করেছেন, সিতাইয়ে ভোটের প্রচারে তাঁরা বসে নেই। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কথা মাথায় রেখে ভোট-প্রচারের কৌশল কিছুটা পাল্টানো হয়েছে। বড় জনসভার বদলে ছোট ছোট সভা ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় জানান, দলের রাজ্য নেতৃত্বও সিতাইয়ে প্রচার করবেন।

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাদারিহাটে প্রচার করে গিয়েছেন। শেষ মুহূর্তে তাঁর সিতাইয়ে প্রচারে আসার কথা রয়েছে। বুধবার রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ গোসানিমারি এলাকায় র‍্যালি করবেন। গোসানিমারিতে একটি সভাতেও বক্তব্য রাখবেন তিনি। মঙ্গলবার কোচবিহারে দলের জেলা অফিসে ওই কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হয়। বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘দলের নেতার কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন।’’

বিজেপির একটি অংশের নেতা-কর্মীদের বক্তব্য, মাদারিহাট শান্ত এলাকা। কিন্তু সিতাইয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা বরাবর ঘটে এসেছে। শুরু থেকেই ভোটের প্রচারে দলের নেতা-কর্মীদের সামিল করা হলে তাঁরা তৃণমূলের আক্রমণের মুখে পড়তে পারেন। সেই কারণে প্ৰত্যেক নেতা-কর্মীকে নিজের নিজের এলাকায় প্রচারে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোটের তারিখ এগিয়ে এলে এক-দু’টি বড় সভা করে মানুষকে বার্তা দেওয়া হবে।

তৃণমূল অবশ্য বিজেপির দাবি মানতে চায়নি। তৃণমূলের দাবি, সিতাইয়ে বিজেপির এই মুহূর্তে তেমন কোনও সংগঠন নেই। তাই বিজেপি সভা-মিছিল ডাকলেও লোক পাবে না। সেই কারণেই তারা সন্ত্রাসের কথা বলছে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ৮-১০ নভেম্বর সিতাই এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করবেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী পুলক রায়। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘মন্ত্রীর প্রচারের সূচি আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement