পাকাপাকি বিচ্ছিন্ন ধনুষ-ঐশ্বর্যা রজনীকান্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
১৮ বছরের দাম্পত্যে ইতি। পাকাপাকি ছাদ আলাদা হল ধনুষ-ঐশ্বর্যা রজনীকান্তের। চেন্নাইয়ের এক পারিবারিক আদালত আইনি বিচ্ছেদে সিলমোহর দিয়েছে বুধবার। দু’বছর ধরে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছিলই। আলাদা থাকছিলেন খ্যাতনামী দম্পতি। খবর ছড়াতেই বিষণ্ণ অনুরাগীরা। ধনুষ-ঐশ্বর্যার দুই ছেলে যাত্রা আর লিঙ্গ। ছাদ আলাদা হলেও সন্তানদের দেখভাল তাঁরা এক সঙ্গেই করবেন, এ কথা জানিয়েছেন উভয়েই।
খবর, পাকাপাকি বিচ্ছেদের আগে দু’জনে দু’জনকে সময় দিয়েছিলেন। একটা সময়ের পরে উভয়েই বুঝতে পারেন, আর এক ছাদের নীচে জীবন যাপন সম্ভব নয়। এর পরেই চলতি বছরের শুরুতে বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ধনুষ। যদিও আদালত চত্বরে দেখা দেননি কেউই। বদলে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে হাজিরা দেন তাঁরা। ২১ নভেম্বর প্রথম চেন্নাইয়ের পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে উপস্থিত উভয়ে। বিচারক তাঁদের বক্তব্য শুনে ২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় দেন।
২০০৪ সালে রজনীকান্তের মেয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ধনুষ। এক যুগেরও বেশি সময় দাম্পত্য কাটানোর পর ২০২২-এ উভয়ে সমাজমাধ্যমে জানান, ১৮ বছর ধরে এক সঙ্গে জীবনের ভালমন্দ ভাগ করেছেন তাঁরা। পাশে পেয়েছেন দুই পরিবার, পরিজন, অজস্র বন্ধু এবং অসংখ্য অনুরাগীদের। তার পরেও আর এক সঙ্গে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। জোর করে ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যেতে রাজি নন তাঁরা। বরং আগামীতেও যাতে বন্ধুত্ব অটুট থাকে এই ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত সন্তানদের উপরে কোনও প্রভাব ফেলবে না।