Kalimpong Landslide

কালিম্পংয়ের বন্ধ জাতীয় সড়ক খুলল তিন দিন পর, ধসে যাওয়া রাস্তায় একমুখে চলছে গাড়ি

কালিম্পংয়ের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে রবিবার ধস নেমেছিল। বন্ধ ছিল যান চলাচল। সড়কের এই অংশ এমনিতেই ধসপ্রবণ। কারণ, পাশেই রয়েছে তিস্তা নদীর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৬
কালিম্পংয়ে ধসে যাওয়া জাতীয় সড়কের একাংশ।

কালিম্পংয়ে ধসে যাওয়া জাতীয় সড়কের একাংশ। — নিজস্ব চিত্র।

কালিম্পংয়ে ধসের কবলে পড়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। গত রবিবার থেকে যে কারণে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার রাস্তা মেরামত করে আবার যান চলাচল শুরু করানো গিয়েছে। তবে এখনও ওই রাস্তায় ঝুঁকি রয়েছে। যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক করা যায়নি। রাস্তায় এক ধার দিয়ে একমুখী গাড়ি চলছে। যে অংশে ধস নেমেছিল, সেখান দিয়ে কোনও গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে না। চলছে প্রশাসনের নজরদারি। জাতীয় সড়কের ওই অংশে ভারী যানবাহনও চলতে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

কালিম্পংয়ের রম্ভী থানার অন্তর্গত শ্বেতীঝোড়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে রবিবার ধস নেমেছিল। এই অংশ এমনিতেই ধসপ্রবণ। কারণ, পাশেই রয়েছে তিস্তা নদীর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বাধের কারণে বর্ষায় তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পায়। সেই জলের চাপেই রাস্তার একাংশ ফেটে সুড়ঙ্গের আকার নেয়। ক্রমে সেই সুড়ঙ্গ বাড়তে থাকে।

পাথরের বড় বড় চাঁই দিয়ে সুড়ঙ্গ ভরাট করার চেষ্টা করেছিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। সুড়ঙ্গ দিয়ে তিস্তার গর্ভেই তলিয়ে যায় সব পাথর। ধস কবলিত এই রাস্তা মেরামত করতে তাই প্রশাসনের কালঘাম ছুটেছিল। অবশেষে অনেক চেষ্টার পর সুড়ঙ্গ ভরাট করা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে তাই ওই রাস্তার এক দিক দিয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছে। ভারী পণ্যবাহী যানবাহন যাতে ওই রাস্তায় না যায়, ধস কবলিত এলাকার উপর দিয়ে কোনও গাড়ি যাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি চালাচ্ছে পূর্ত দফতর।

জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় যান চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছিল। যানজট ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ। কোনও রকমে রাস্তা মেরামত করে তাই যান চলাচল আবার শুরু করা হয়েছে। তবে পাথর দিয়ে ভরাট করা রাস্তা কত দিন নিরাপদ থাকবে, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এ বিষয়ে কালিম্পংয়ের এসপি অপরাজিতা রাই বলেন, ‘‘রাস্তা খুললেও তার এক দিক থেকে গাড়ি চালানো হচ্ছে। যে জায়গায় ধস নেমেছিল সেই জায়গা দিয়ে গাড়ি পারাপার করানো হচ্ছে না। পূর্ত দফতর, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এখনও ঘটনাস্থলে থেকেই নজরদারি চালাচ্ছেন। তাঁরা যত ক্ষণ সবুজ সঙ্কেত না দিচ্ছেন, তত ক্ষণ দু’পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করানো হবে না।’’

আরও পড়ুন
Advertisement