ট্রেনের থ্রটলের উপর ব্যাগ রেখে ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ‘মত্ত’ চালক! মথুরার রেল দুর্ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে

স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে অন্য জনকে কাজ বুঝিয়ে নেমে পড়েছিলেন চালক। তিনি নামতেই হঠাৎ ট্রেনটি চলতে শুরু করে দেয়। তার পরই সেটি সটান প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে পড়ে। উত্তরপ্রদেশের মথুরা স্টেশনে তখন আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি, ছোটাছুটি চলছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

মঙ্গলবার লাইন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে গিয়েছিল একটি লোকাল ট্রেন। প্ল্যাটফর্ম ভেঙে গুঁড়িয়ে কয়েক ফুট উঁচুতে উঠে গিয়েছিল ট্রেন। তবে যে হেতু মথুরাই ছিল শেষ গন্তব্য, তাই যাত্রীরা নেমে পড়েছিলেন। ট্রেন খালি ছিল। চালকের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ট্রেনটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য চালককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। দ্বিতীয় চালক ট্রেনে ওঠেন। বেখেয়ালে ট্রেনের থ্রটলের উপর নিজের ব্যাগ নামিয়ে রাখেন। তার পর চালকের আসনে বসে ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আচমকাই ট্রেনটি চলতে শুরু করে। তখনও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন চালক। তার পর ট্রেনটি লাইন ছেড়ে সোজা প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ে।

রেল সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চালকের নাম সচিন। এই ঘটনায় ওই ট্রেনের লোকো পাইলট এবং চার টেকনিক্যাল স্টাফকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে রেল। মথুরার রেলওয়ে স্টেশন ডিরেক্টর সঞ্জীব শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মোট পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁরা মত্ত অবস্থায় কাজ করছিলেন। ডিভিশনাল রেল ম্যানেজার তেজ প্রকাশ আগরওয়াল পাঁচ জনের সাসপেন্ড হওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।

প্রাথমিক যে রিপোর্ট রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সচিন দাবি করেছেন ট্রেনটি নিজে থেকেই চলতে শুরু করেছিল। আপৎকালীন ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে ট্রেন রেললাইন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মে উটে গিয়েছিল। সচিনের আরও দাবি, ট্রেনের থ্রটল (যার মাধ্যমে ট্রেন চালানো হয়) সামনে দিকে ঠেলা ছিল। চাবিও লাগানো ছিল। এই ঘটনার জন্য তিনি লোকো পাইলটকেই দায়ী করেছেন। সচিনের অভিযোগ, লোকো পাইলট ট্রেন চালানোর যন্ত্র চালু রেখেছিলেন। যদিও লোকো পাইলট পাল্টা দাবি করেছেন যে, ট্রেন চালানেোর থ্রটল লক করে চাবি সচিনের হাতে দিয়ে গিয়েছিলেন।