Death Case

আবার মেয়ে? তৃতীয় কন্যা জন্মানোর পর ‘অবসাদে’ আত্মঘাতী মালদহের যুবক!

পুলিশ সূত্রের খবর, সুজিতের বাড়ি মালদহ থানার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাজীবননগর এলাকায়। ৩৫ বছরের যুবক রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বুধবার আর কাজে যাননি তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১১

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পুত্রসন্তানের আশায় ছিলেন। কিন্তু সপ্তাহ তিনেক আগে স্ত্রী তৃতীয় কন্যার জন্ম দেওয়ার পর থেকে মনখারাপ ছিল মালদহের সুজিত মুন্ডার। বুধবার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পরিবারের দাবি, তৃতীয় কন্যা জন্মানোয় মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, সুজিতের বাড়ি মালদহ থানার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাজীবননগর এলাকায়। ৩৫ বছরের যুবক রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বুধবার আর কাজে যাননি তিনি। সকালে বাড়ির এক সদস্য গোয়ালঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন।স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৮ নভেম্বর সুজিতের স্ত্রী পুতুল মুন্ডাকে ভর্তি করানো হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। ওই দিনই একটি সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মা-সন্তান দু’জনেই ভাল ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় মেয়ের জন্মের খবর পেয়ে মনমরা ছিলেন বাবা। সুজিত এবং পুতুলের বড় মেয়ের বয়স সাত বছর। মেজোর বয়স তিন আর ছোট মেয়ের বয়স মাত্র ২৮ দিন। এ বার পুত্রসন্তান লাভের আশায় ছিলেন সুজিত। তা না-হওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেছে পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্ত্রী পুতুল বলেন, ‘‘তৃতীয় মেয়ে জন্মের পর ‌থেকে স্বামী মনখারাপ করে ছিল। ও বার বার ছেলে চেয়েছে। কিন্তু আমার কী করার আছে? এই মেয়ে জন্মের পর থেকে ওর বাবা বেশি করে নেশা করতে শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। ভোরের দিকে ঘুম থেকে উঠে গোয়ালঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’

মালদহ থানার পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবার এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন