এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পরনে কেতাদুরস্ত পোশাক। সঙ্গে বড় দুটো ব্যাগ নিয়ে ভিড় বাজারে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধা এবং এক কিশোরী। মুর্শিদাবাদের সুতির চাঁদের মোড়ে গিয়ে আর পাঁচ জন সাধারণ যাত্রীর মতো গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া গেল প্রচুর পরিমাণ গাঁজা। সম্পর্কে দিদা এবং নাতনিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার।
পুলিশ জানিয়েছে, থানায় নিয়ে গিয়ে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম রাবিয়া বিবি এবং হাকিমা বিবি। রাবিয়ার বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানা এলাকায়। হাকিমা থাকেন বীরভূম জেলার নলহাটি থানার লোহাপুর এলাকায়। রাবিয়া হাকিমার দিদিমা। অভিযোগ, মহিলা এবং কিশোরীকে দিয়ে গাঁজা পাচারের চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। ধৃতেরা কোথা থেকে ওই মাদক পেয়েছিলেন, কাকে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বুধবার সকালে দু’জনকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, দিদা নাতনিকে নিয়ে সড়কপথে শিলিগুড়ি থেকে সুতির চাঁদের মোড়ে আসেন। সেখানেই কারও জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ব্যাগ খুলে পাওয়া যায় প্রায় ১০ কেজি গাঁজা। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাঁরা এক যুবকের জন্য সুতিতে অপেক্ষা করছিলেন। পুলিশ মনে করছে, ওই ব্যক্তি মাদকপাচার চক্রের কোনও এজেন্ট। তবে ওই ব্যক্তি আসার আগে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের দেখে ব্যাগটি লুকনোর চেষ্টা করেছিলেন দু’জন। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য ব্যাগের ভিতরের কাপড় রাখা হয়েছিল। তবে সেগুলো সরাতেই পাওয়া যায় মাদক। এর আগেও সুতি থেকে বেশ কয়েক জন মাদক কারবারি এবং পাচারকারীকে পাকড়াও করে পুলিশ। এ বার পুলিশের চোখে ধুলো দিতে মহিলাদের পাচারের কাজে লাগানো হচ্ছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘আগাম খবরের ভিত্তিতে নজরদারি রাখা হচ্ছিল। তল্লাশি চালিয়ে দু’জনের ব্যাগ থেকে ১০ কেজি গাঁজা পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’