Indian Railways

রেলের বৈঠকে ডাক উত্তরের সাংসদদের

শিলিগুড়ি জংশন উন্নয়নের কাজ অনেকটা এগিয়েছে। দার্জিলিং মেল ফের শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব নিয়ে সরব হয়েছেন রাজু বিস্তা।

Advertisement
শান্তশ্রী মজুমদার
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৪২
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে রেলের কাটিহার এবং আলিপুরদুয়ার ডিভিশন এলাকায় লোকসভা এবং রাজ্যসভার ১৮ জন সাংসদকে আলোচনায় ডাকলেন রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী শুক্রবার শিলিগুড়ির একটি হোটেলে ওই আলোচনা হওয়ার কথা। বৈঠকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের সদর দফতর মালিগাঁওয়ের একাধিক রেলকর্তা ছাড়াও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জিএম চেতন শ্রীবাস্তবেরও উপস্থিত থাকার কথা। রেল সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা, কোচবিহারের সাংসদ জগদীশ বসুনিয়া, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় ছাড়াও উত্তরবঙ্গের বাকি সাংসদদেরও। এ ছাড়াও বিহারের জনপ্রতিনিধিরাও থাকবেন। দার্জিলিং মেলের ‘উৎস’ উত্তরবঙ্গে নতুন করে বদলাবে কিনা, তা নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

Advertisement

রেল সূত্রে খবর, এলাকার বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে এরকম বৈঠক নিয়মিত ভাবে হয়ে থাকে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের তরফে থেকে উঠে আসা রেল সংক্রান্ত প্রস্তাব যদি আঞ্চলিক স্তরে মেটানো সম্ভব হয়, তা মিটিয়ে ফেলা হয়। যদি তা না হয়, তবে রেলবোর্ড এবং রেল মন্ত্রকের কাছেও পাঠানো হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন, ‘‘আসন্ন বাজেটের সঙ্গে এই বৈঠকের হয়তো সরাসরি সম্পর্ক নেই, তবে যে প্রস্তাবগুলি উঠে আসবে, সে সব যথাযোগ্য মর্যাদায় বিবেচনা করা হবে।’’

শিলিগুড়ি জংশন উন্নয়নের কাজ অনেকটা এগিয়েছে। দার্জিলিং মেল ফের শিলিগুড়িতে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব নিয়ে সরব হয়েছেন রাজু বিস্তা। যদিও তাতে আপত্তি তুলেছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়। এই বিষয় নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। এনজেপি স্টেশন বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এনজেপি ঘিরে রেলের আলাদা ডিভিশনের প্রস্তাব দীর্ঘদিন ধরেই তুলছেন রেলকর্মীরা। সে কথাও আলোচনায় উঠে আসতে পারে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের এনজেপির শাখার সম্পাদক রণজয় চন্দ বলেন, ‘‘এনজেপি থেকে তিনটি বন্দে-ভারত যাতায়াত করছে। কর্মকাণ্ড আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। সেবক–রংপো প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে এনজেপি আলাদা ডিভিশন হওয়া উচিত, তা আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন