Mayanmar Civil War

গাজ়ার পরে ‘যুদ্ধবিরতির’ জন্য তৎপরতা এ বার মায়ানমারে, বিশেষ দূত নিয়োগ করল আসিয়ান

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সংগঠন আসিয়ান সোমবার মালয়েশিয়ার প্রাক্তন বিদেশ সচিব ওথমান হাসিমকে ‘মায়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত’ হিসেবে নিযুক্ত করেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৮
ASEAN appoints new special envoy for Myanmar

ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চিম এশিয়ার ‘ছায়া’ এ বার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। গাজ়া ভূখণ্ডে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েল সেনার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে দু’দিন আগে। এ বার ভারতের পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ থামানোর জন্য শুরু হল আন্তর্জাতিক তৎপরতা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সংগঠন আসিয়ান এই উদ্দেশ্যে সোমবার মালয়েশিয়ার প্রাক্তন বিদেশ সচিব ওথমান হাসিমকে ‘মায়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত’ হিসেবে নিযুক্ত করেছে।

Advertisement

মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সংঘর্ষ থামানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে আসিয়ানের তরফে। জুন্টাবিরোধী নির্বাসিচ গণতন্ত্রপন্থী সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাওয়াদি’ জানিয়েছে, শান্তিপ্রক্রিয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে আশিয়ান। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতন্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল মায়ানমার সেনা। শুরু হয়েছিল সামরিক জুন্টার শাসন। ক্ষমতা দখলের চতুর্থ বর্ষপূর্তির আগে সে দেশের ৬০ শতাংশের বেশি এলাকা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে জুন্টা ফৌজের।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’। পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)।

মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ এবং তাদের সশস্ত্র শাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানায়। বিদ্রোহীদের মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী ‘দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি’ (ইউডব্লিউএসপি) ইতিমধ্যেই কয়েকটি ‘মুক্ত’ এলাকায় সমান্তরাল সরকার চালানোও শুরু করে দিয়েছে। প্রাথমিক পর্বে বিদ্রোহীদের দমনে জুন্টা ফৌজকে সামরিক সহায়তা করেছিল বেজিং। পরবর্তী সময় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাও করেছিল জিনপিং সরকার। কিন্তু সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। এ বার কি আসিয়ানের আবেদনে সাড়া দিয়ে শান্তি ফিরবে মায়ানমারে?

Advertisement
আরও পড়ুন