Woman Raped by Civic Volunteer

মাকে কৌশলে বাড়ি থেকে সরিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ! সিভিক ভলান্টিয়ার ধৃত মালদহের মানিকচকে

মানিকচক থানার অধীনে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন নির্যাতিতা। তাঁর বিয়ে হয়েছে মুর্শিদাবাদে। গত এক মাস ধরে তিনি বাবার বাড়িতে রয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১২
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার মালদহের মানিকচক থানায় কর্মরত। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযুক্তের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

মানিকচক থানার অন্তর্গত প্রত্যন্ত এক গ্রামে থাকেন নির্যাতিতা। তাঁর বিয়ে হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। গত এক মাস ধরে তিনি বাবার বাড়িতে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ তাঁর পেটে ব্যথা হয়। সেই সময় তাঁর মা ওই গ্রামেরই এক যুবককে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠান। তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার তরুণীর মাকে নদী থেকে জল আনার কথা বলেন। সেই সুযোগেই ফাঁকা বাড়িতে তাঁকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওই ঘটনার পরে জ্ঞান হারান তিনি। তাঁর জ্ঞান ফিরতেই সমস্ত বিষয়টি মাকে জানান। বিষয়টি জানার পরে শুক্রবার সকালে মানিকচক থানায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘মেয়ের পেটে ব্যথা হওয়ায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ডাকা হয়েছিল। আমাকে জল আনতে বলে ধর্ষণ করেছে সে। সিভিক এলাকা রক্ষার দায়িত্ব থাকে। কিন্তু এখানে ভক্ষকের ভূমিকা নিয়েছে। আমি অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি চাই।’’

অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করে শুক্রবার হাজির করানো হয় মালদহ জেলা আদালতে।

গত অগস্টে আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন