Kho Kho World Cup

‘চাকরি চাই’! বিশ্বজয়ী হয়ে চুঁচুড়ার বাড়িতে ফেরার পর এখন একটিই প্রত্যাশা দিনমজুর-পুত্র সুমনের

ছেলের সেই খেলা দেখতে পারেননি সুমনের বাবা-মা। বাবা রামদেব কেরলে কাজে গিয়েছিলেন। মা সুজাতা কালনার একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫০
চুঁচুড়ায় ফেরার পরে সম্বর্ধনা বিশ্বকাপজয়ী খো খো দলের সদস্য সুমন বর্মণকে।

চুঁচুড়ায় ফেরার পরে সম্বর্ধনা বিশ্বকাপজয়ী খো খো দলের সদস্য সুমন বর্মণকে। — নিজস্ব চিত্র।

বাবা দিনমজুর। মা পরিচারিকার কাজ করেন। চুঁচুড়ার সেই সুমন বর্মণ ছিলেন ভারতের খো খো বিশ্বকাপজয়ী দলে। বিশ্বকাপ জিতে বাড়ি ফেরার পরে তাঁকে ফুল-মালায় বরণ করে নিলেন চুঁচুড়াবাসী। সম্বর্ধনার মাঝেই সুমন জানিয়ে দিলেন, তাঁর একটা চাকরি চাই। বাবা-মা অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন তাঁকে। এ বার সেই কষ্ট লাঘব করতে চান তিনি।

Advertisement

১৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে বসেছিল প্রথম খো খো বিশ্বকাপের আসর। পুরুষ বিভাগে ২০টি দেশ এবং মহিলাদের বিভাগে ১৯টি দেশ যোগ দেয়। ভারতের পুরুষ এবং মহিলা দুই দলই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পুরুষদের বিশ্বজয়ী দলে ছিলেন সুমন। চুঁচুড়ার মিলনপল্লির বাসিন্দা তিনি। তাঁর পাড়ার ক্লাবের মাঠে বড় পর্দা বসিয়ে খেলা দেখার আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও সেই খেলা দেখতে পারেননি সুমনের বাবা-মা। বাবা রামদেব কেরলে কাজে গিয়েছিলেন। মা সুজাতা কালনার একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন। তাই বাবা-মা ছেলের সাফল্য দেখতে পাননি। পরে বাড়ি ফিরে জেনেছিলেন মা। ছেলের সাফল্যে বেজায় খুশি তাঁরা। বাবা-মা বলেন, ‘‘ছেলেকে ঠিকমতো কোনও দিন খেতে দিতে পারিনি। সেই ছেলে বিশ্বকাপ জিতে ফিরেছে। আমরা খুব খুশি।’’


বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য সুমন এখন চাইছেন একটা চাকরি। তাঁর কথায়, ‘‘পরিবারকে বাঁচাতে এটা আমার খুব প্রয়োজন।’’

Advertisement
আরও পড়ুন