পাকিস্তানের করাচির এক জেলে মৃত্যু হল ভারতীয় মৎস্যজীবীর। সাজা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে দেরি করছিল ইসলামাবাদ। — প্রতীকী চিত্র।
পাকিস্তানের জেলে মৃত্যু হল ভারতীয় মৎস্যজীবীর। ২০২২ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তান। করাচির একটি জেলে রাখা হয়েছিল বাবু নামে ওই মৎস্যজীবীকে। সাজার মেয়াদ ইতিমধ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু ওই মৎস্যজীবীকে ভারতে ফেরত পাঠায়নি পাকিস্তান। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত দু’বছরে আট জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর মৃত্যু হল পাকিস্তানের জেলে।
বাবুর মতো এমন আরও অনেক ভারতীয় মৎস্যজীবী রয়েছেন, যাঁরা পাকিস্তানের জেলে সাজার সম্পূর্ণ মেয়াদ কাটিয়ে ফেললেও এখনও দেশে ফিরতে পারেননি। সরকারি সূত্রে খবর, এমন ১৮০ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত সরকার বার বার বলে যাচ্ছে পাকিস্তানকে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের জেলে প্রাণ হারালেন আরও এক ভারতীয়।
গত বছরের ডিসেম্বরেও বিদেশ মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, গত বছরের ১ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী পাকিস্তান ২১১ জন ভারতীয় (নিশ্চিত কিংবা সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিক) মৎস্যজীবীর ধরা পড়ার কথা নিশ্চিত করেছে। সাধারণ ভাবে দু’দেশের চুক্তি অনুসারে, প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি এবং ১ জুলাই দুই দেশ একে অন্যের মৎস্যজীবী এবং অন্য সাধারণ বন্দিদের তালিকা প্রকাশ করে।
এ বছরের জানুয়ারিতে দেওয়া তালিকা অনুসারে, পাকিস্তানের জেলে ২১৭ জন মৎস্যজীবী এবং ৪৯ জন সাধারণ বন্দির তালিকা দিল্লিতে পাঠায় ইসলামাবাদ। দিল্লি থেকেও তালিকা পাঠানো হয় ইসলামাবাদে। তালিকা অনুসারে পাকিস্তানের ৮১ জন মৎস্যজীবী এবং ৩৮১ জন সাধারণ মানুষ ভারতে বন্দি রয়েছেন।