Vistadome Coaches

কাপলিং ছিঁড়ে এগিয়ে গেল ইঞ্জিন, শিলিগুড়িতে বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা ভিস্তাডমের যাত্রীদের

রেলকর্মীরা গিয়ে দেখেন কাপলিং ছিঁড়ে যাওয়ার কারণেই ভিস্তাডম কোচবিশিষ্ট বিশেষ ট্রেনকে ছেড়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ইঞ্জিনটি। পরে অবশ্য কাপলিং জুড়ে ট্রেনটিকে আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশে পাঠানো হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ১২:১৩
Coupling disconnects between Rail Engine and Vistadom coach near Siliguri

বিশেষ ট্রেনের ভিস্তাডম কোচ। —ফাইল চিত্র।

কাপলিং ছিঁড়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল ইঞ্জিন। দাঁড়িয়ে রইল ট্রেনের বাকি অংশ। শুক্রবার সকালে এমনই ঘটল শিলিগুড়ি সংলগ্ন গুলমা স্টেশনের কাছে। এ দিন সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ শিলিগুড়ি আর গুলমা স্টেশনের মাঝে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশে যাওয়া ট্যুরিস্ট স্পেশাল ভিস্তাডম কোচবিশিষ্ট ট্রেন।

Advertisement

যাত্রীদের নিয়ে এই নিয়ে শোরগোল পড়ে গেলে দেখা যায়, ট্রেনের বাকি বগিগুলিকে পিছনে ফেলেই বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেলকর্মীরা দেখেন কাপলিং ছিঁড়ে যাওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে মনে করছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানাতে থাকেন ট্রেনের যাত্রীরা। পরে অবশ্য কাপলিং জুড়ে আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশে পাঠানো হয় ট্রেনটিকে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, “ইঞ্জিন আর কামরার মাঝে যে কাপলিং থাকে, সেটা খুলে গিয়েছিল। সকাল ৯টা ১০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ৯টা ২৩ মিনিট নাগাদ সেটি ঠিক করে দেওয়ার পর ট্রেনটি আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশে রওনা দেয়।” গন্তব্যে রওনা দেওয়ার আগে ট্রেনটিতে যান্ত্রিক গোলযাগের দিকটি খতিয়ে দেখা হয়েছিল কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী বলেন, “সাধারণত সব কিছুই খুঁটিয়ে দেখা হয়। কিন্তু কখনও কখনও ভুল হতে পারে। কিন্তু কী কারণে এমনটা হল জানা যায়নি। সেটা খতিয়ে দেখতে হবে৷”

ডুয়ার্সের প্রাকৃতির সৌন্দর্য পর্যটকেরা যাতে আরও ভাল ভাবে উপভোগ করতে পারেন, সেই উদ্দেশেই রেলের তরফে এই ভিস্তাডম কামরায় যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই ভিস্তাডোম বিশিষ্ট স্পেশাল কোচের বিশেষত্ব হল ট্রেনের ছাদ পুরোপুরি কাচের। বড় বড় কাচের জানালা থাকে ট্রেনে। আসনগুলো ১৮০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারেন যাত্রীরা। ফলে যে কোনও দিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য সমান ভাবে উপভোগ করতে পারেন সকলে। জঙ্গল-পথে তুলনায় ধীর গতিতে যাওয়া এই ট্রেনে উঠতে যাত্রীদের পকেট থেকে টিকিট বাবদ অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়। তা সত্ত্বেও এই ধরনের বিভ্রাট কেন ঘটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীদের একাংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement