West Bengal Panchayat Election 2023

সীমান্ত এলাকায় হিংসা এত বেশি কেন? সিতাইয়ে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল বোস

সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিতাইয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি । সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী এলাকায় অশান্তি ঠেকানো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সিতাই শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৩ ১৩:১১
Ahead of Panchayat Poll Governor CV Ananda Bose did meeting with BSF in Sitai

সিতাইয়ে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (বাঁ দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

বাংলার সীমান্ত এলাকায় হিংসার ঘটনা কেন বেশি? এ নিয়ে খোঁজখবর করতে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কোচবিহার সফরের তৃতীয় দিনে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজ্যপাল সিতাই যান রাজ্যপাল। তাঁর কনভয় থামে ৭৫ নম্বর বিএসএফের বিওপিতে। সেখানে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে মিনিট দশেকের বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, সীমান্তবর্তী জেলা কোচবিহার কেন বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, কী কারণে হিংসা ছড়াচ্ছে, সে বিষয়ে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যপাল।

বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের নানা অংশ। শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সংঘর্ষে বার বার উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে দিনহাটার গীতালদে জারি ধরলা গ্রামে। সম্প্রতি বোমাবাজি, গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয় ভারত ভূখণ্ড থেকে ধরলা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়া ওই গ্রাম। অভিযোগ, এই এলাকা দিয়ে অবাধে অনুপ্রবেশ এবং চোরা কারবার হয়। সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিএসএফের মদতে সেখানে অশান্তি হয়েছে। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলেন, বিএসএফের কড়া পাহারা থাকা সত্ত্বেও কী করে বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। তবে পাল্টা যুক্তি দেয় বিজেপি। দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি অজয় রায় বলেন, ‘‘শাসক দল আশ্রিতরা মাদক পাচার কাজে যুক্ত।’’ ভোটের আগে এই রকম অশান্তি দেখা দিচ্ছে বাকি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এবং বিএসএফের বৈঠক ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

Advertisement

কোচবিহার সফরে এসে হিংসা বন্ধ করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও তিনি জেলায় থাকাকালীনই আবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েছে দিনহাটায়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের তিন নেতাকর্মীকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেছেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অন্য দিকে, বিজেপি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছে হিংসার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। সিতাই যাওয়ার আগে আহত তৃণমূল নেতাকর্মীদের দেখতে কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে যান রাজ্যপাল। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement