ঝড়বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা। —ফাইল ছবি।
মিনিট কয়েকের ঝড়। তাতেই লন্ডভন্ড দশা জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকার। বহু হতাহত, প্রচুর সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি— আতঙ্ক গ্রাস করল জলপাইগুড়ি শহর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ির মানুষকে। আলিপুরদুয়ারেও পড়েছে ওই ঝড়ের প্রভাব। ঝড়ের বলি সব মিলিয়ে পাঁচ-পাঁচটি প্রাণ (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী)। আর লোকসভা ভোটের মুখে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ। এমনকি, কে আগে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছলেন, তা নিয়েও চলল নাড়াঘাঁটা এবং আক্রমণ। ভোটের মরসুমে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেন হঠাৎই জলপাইগুড়িকে রাজনীতির ভরকেন্দ্রে পরিণত করল।
রবিবার বিকেলের কয়েক মিনিটের ঝড়ে মৃত্যুদের মধ্যে দু’জন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। এক জন গোসালা মোড়ে এবং অন্য জন সেন পাড়ায় থাকতেন। আরও দু’জন ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সকলের বাড়িতেই রাতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া আলিপুরদুয়ার জেলার আলিপুরদুয়ার- ১ ব্লকের চকোয়াখেতি, তপসিখাতা এলাকাতেও বহু বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আলিপুরদুয়ার- ২ ব্লকেরও একই অবস্থা। কুমারগ্রাম ব্লকে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বড়-বড় গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। অনেকেই আশ্রয়হীন। তাঁদের ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে।
ঝড়ে কোচবিহারেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। মূলত কোচবিহার-২ নম্বর ব্লকের মরিচবাড়ি খোল্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুডুমারি, দলদলি, মরিচবাড়ি, খোচাবাড়ি এলাকায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাথাভাঙাতেও কয়েক মিনিটের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি এলাকা। চিকিৎসাধীন অনেকে। মাথাভাঙা-১ ব্লকের কুর্শামারি পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় কাওয়ারডারা এলাকায় ব্যাপক ঝড়ের তাণ্ডবে বহু বাড়িঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
রবিবার বিকেলে খবর পাওয়া মাত্রই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তিনি সমাজমাধ্যমে জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। নির্বাচনী আদর্শ বিধি মেনে দুর্গতদের সাহায্য করবেন। তার মধ্যে রাতেই মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেন উত্তরবঙ্গে। রবিবার রাতে প্রায় ঘুমোননি তিনি। ঝড়ে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি দেখতে একের পর এক এলাকা ঘুরেছেন। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সাহায্যের আশ্বাস দেন। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গেও কথা বলেন। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির যে যে এলাকা রবিবারের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে সব জায়গায় রাতেই গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিজে খতিয়ে দেখেছেন। পরিস্থিতির তদারকি করেছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সব মিটিয়ে রবিবার রাতে যখন তিনি হোটেলে ফেরেন তখন রাত প্রায় আড়াইটে বাজে। মুখ্যমন্ত্রী ওঠেন মালবাজারের চালসার একটি হোটেলে।
সোমবার উত্তরবঙ্গে ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে চলে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার রাজভবন থেকে রওনা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। মুখ্যমন্ত্রীর আগে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ ছোড়েন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, সামনে ভোট। তাই এ ভাবে দৌড়েছেন তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে তিনি ২০২২ সালের দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় মাল নদীর হড়পা বানের ঘটনা টেনে আনেন। শুভেন্দু দাবি করেন, তখনও যদি এ বারের মতো তৎপরতা দেখাতেন মুখ্যমন্ত্রী, তা হলে তিনি বুঝতেন যে এটা ভোটের রাজনীতি নয়। যদিও শুভেন্দুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, সোমবার সারাদিন চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায় রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বদের যাতায়াত।
কলকাতা-নদিয়া-কলকাতা-জলপাইগুড়ি
রবিবার দুপুরে কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রচার সেরে কলকাতায় ফিরে খবর পান উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের। দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতেই চলে যান জলপাইগুড়িতে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান। মৃতদের পরিবারে যান। হাসপাতালে গিয়ে কথা বলেন আহতদের সঙ্গেও। গভীর রাত পর্যন্ত ছিলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিদর্শনে। খোঁজখবর নেন পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোরও।
সোমবার দুপুরে আলিপুরদুয়ারের ছ’মাইলের একটি প্রাথমিক স্কুলের ত্রাণশিবিরে যান মমতা। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘‘তপসিঘাটা গ্রামে রিলিফ ক্যাম্পে যাঁরা আছেন, সেই পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের বক্তব্য শুনেছি। চোখের সামনে যে ঘরগুলি দেখলাম, সেগুলি পুরোটাই টিনে চাপা পড়ে গিয়েছে, গাছে চাপা পড়ে গিয়েছে। একটা জিনিসও লোকে ঘর থেকে বার করতে পারেনি। এই তপসিঘাটা স্কুলে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন।’’ তখনও নির্বাচনী বিধির কথা মাথায় রেখেছেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন এমসিসি (নির্বাচনী আচরণবিধি) চালু আছে, কিন্তু বিপর্যয় জরুরি বিষয়। বিপর্যয় ব্যতিক্রমী বিষয়। আমাদের সরকার আছে, প্রশাসন আছে। আমি প্রশাসনকে বলব, সমীক্ষা করে দেখুক এবং নিজের মতো করুক। কার কতটা ঘর ভেঙেছে, কতটা আংশিক ভেঙেছে, কতটা পুরো ভেঙেছে। যাঁদের বাড়িতে কিচ্ছু নেই, প্রশাসন তাঁদের জন্য সাহায্যের হাত গতকাল থেকেই বাড়িয়েছে। মানুষ বিপদে পড়লে তাঁকে উদ্ধার করাই আমাদের কাজ।’’
আলিপুরদুয়ার থেকে মমতা জানান, মঙ্গলবার তিনি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে কোচবিহারে পাঠাবেন। কুমারগ্রামের একটি ত্রাণশিবিরে যাবেন অরূপ। কোচবিহারেও ক্ষতি হয়ে থাকলে প্রশাসন পদক্ষেপ করবে। সেই মতোই নির্দেশ দেওয়া আছে।
জলপাইগুড়িতে ক্ষয়ক্ষতি
ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়িতে বহু মানুষ জখম হয়েছেন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। তাঁরা কেউ কেউ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কয়েক জনকে ভর্তি করানো হয়েছে শিলিগুড়ির হাসপাতালে। রাতেই হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ত্রাণ সরবরাহের কাজ চলছে। এ ছাড়া, জেলা ও ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং কুইক রেসপন্স টিম বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাত জেগে সেই কাজের তদারকিও করেছেন তিনি নিজে।
উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকা দেখে এলেন অভিষেক
সোমবার বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেই বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সব জেলার আসনগুলিতে তো বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু তাঁদের কাউকেই দেখা গেল না! সুকান্ত মজুমদার (রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটের সাংসদ) কোথায়? উনি তো কাছেই থাকেন। এখনও তাঁর সময় হল না ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দেখতে আসার?’’ ওই প্রসঙ্গেই অভিষেক জানান, কেন মুখ্যমন্ত্রী রাতেই উত্তরবঙ্গে চলে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সকালে হাসপাতালে গেলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। নানা প্রোটোকল থাকে। কাজে অসুবিধা হতে পারে। সেই জন্য উনি রাতে চলে এসেছেন। গ্রামে গিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কথা বলতে। হাসপাতালে গিয়েছেন। তদারকি করেছেন।’’
উত্তরবঙ্গে গেলেন শুভেন্দুও
জলপাইগুড়িতে সোমবার সকালে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে প্রায় ৮০০ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাড়িগুলি টিন দিয়ে তৈরি ছিল। এই সময়ে সরকারের উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।’’ এখানেই মমতা যে নির্বাচনী বিধির কথা বলেছেন তা উড়িয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার আদর্শ আচরণবিধির আওতায় পড়ে না। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও জলপাইগুড়িতে কাজ করছে। তাদের বেশি করে দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা রাজনৈতিক কর্মী বা জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী বিধির কারণে বেশি কিছু করতে পারব না। কেবল পাশে থাকতে পারি। তাই সংগঠনগুলিকে দায়িত্ব নিতে হবে। আশা করব অন্য রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসন রাজনীতি দূরে রেখে কাজ করবে।’’ মমতা আগে চলে এসেছেন। তাঁর কেন ‘দেরি’? শুভেন্দুর জবাব, ‘‘ওঁর চার্টার্ড ফ্লাইট আছে, তাই উনি রাতে চলে গিয়েছেন। আমাদের সাধারণ বিমান, যখন সময় হবে, আমি যাব। রাজ্যপালও তেমন গিয়েছেন। আমি তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, মাল নদীতে হড়পা বানের সময়ে যদি ওঁর এই তৎপরতা দেখতে পেতাম, তা হলে ভাল লাগত। তা হলে বুঝতাম আপনি রাজধর্ম করছেন, ভোটধর্ম করছেন না।’’ শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের জবাব পরে দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর (শুভেন্দুর) দাবি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী নাকি এখানে ছবি তুলতে এসেছেন। তা হলে আমার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী এলেন না কেন? উনি ছবি তুলতে ভালবাসেন। ওঁর জঙ্গল সাফারি দেখেছি আমরা। ভুটান সফর দেখেছি। উনি আসতে পারতেন। ফোটোশুটের ব্যাপারে বিজেপির কথা না বলাই ভাল। প্রচারসর্বস্বতাই তো ওদের রাজনীতি। এ বার মানুষ এদের শিক্ষা দেবেন।’’
তিনি এর পর বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘‘কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ২০১৯ সালে বিজেপি জিতেছিল। সাংসদ ছিল বিজেপির। তাঁরা মানুষের পাশে কোনও দিন থাকেনি। যাঁরা এসব নিয়ে ব্যঙ্গ করছে তাঁদের প্রকৃত চেহারা মানুষের সামনে খুলে গিয়েছে। বিজেপির ঝড় চলছে বলছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’
কী বললেন সুকান্ত?
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, মমতা বা অভিষেকের ওখানে যাওয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কারণ তাঁরা সরকারে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা সরকারে রয়েছেন, মানুষকে দয়া করতে যাননি। রাজধর্ম পালন করতে গিয়েছেন।’’ পাশাপাশি সুকান্তের সংযোজন, ‘‘আমাদের বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতৃত্ব ঘটনা ঘটার পর থেকেই এলাকায় রয়েছেন। আমাদের সাংসদ, আমাদের জেলা সভাপতি ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। তাঁদের (তৃণমূলের) এমপি নেই। তাই তাঁদের (মমতা, অভিষেক) ছুটতে হয়েছে। আমাদের নেতারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং আমরাও বিভিন্ন রকম ভাবে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর চেষ্টা করছি। ত্রাণ সামগ্রী কেনার ব্যবস্থা করতে হবে আমাদের গরু পাচারের টাকা তো নেই।’’
উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকায় রাজ্যপাল
গোটা ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একের পর এক দুর্গত এলাকায় যান তিনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলছেন তিনি। রাজ্যপাল জানান, রাজভবনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পিস রুম, খোলা হয়েছে জরুরি সেল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজভবন।
অন্য দিকে, দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র (পোলিং স্টেশন)। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানান, মোট ১১টি পোলিং স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি মেরামতের কাজ চলছে।
সোমবার সকালেও আবহাওয়া প্রতিকূল ছিল জলপাইগুড়িতে। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আকাশের মুখও ভার। মাঝেমাঝে মেঘ ডাকছে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে।