Goalpokhar Encounter

ধরা পড়লেন সাজ্জাকের সহযোগী! বাংলাদেশের ‘আবাল’ই কি মূল মাথা গোয়ালপোখরকাণ্ডের?

রবিবার রাতে রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর পুলিশের যৌথ দল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রসাখোয়া থেকে ‘আবাল’কে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২৪

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ায় পুলিশকে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম নিহত। এ বার তাঁর মূল সহযোগী তথা বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল হোসেন ওরফে ‘আবাল’কে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি বিধানসভার অন্তর্গত সীমান্তলাগোয়া রসাখোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ওই ব্যক্তি।

Advertisement

একটি খুনের মামলায় বিচারাধীন আসামি ছিলেন সাজ্জাক। গত বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে পুলিশের ভ্যানে রায়গঞ্জে নিয়ে আসার সময়ে সাজ্জাক কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালান। এর পর শনিবার ভোরে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর সময় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, খুনের মামলার আসামি জেলের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন কী করে? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত বুধবার সাজ্জাক আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছিলেন ইসলামপুর আদালত চত্বরেই। বছর ২৪-এর ওই আসামির হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন শেখ হজরত নামে এক যুবক। পরিকল্পনার নেপথ্যে ভূমিকা ছিল সাজ্জাকের সহযোগী তথা বাংলাদেশি দুষ্কৃতী আব্দুলেরও। সেই থেকেই ফেরার ছিলেন ‘আবাল’। এ বার তাঁকেই গ্রেফতার করল পুলিশ।

রবিবার রাতে রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর পুলিশের যৌথ দল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে রসাখোয়া থেকে ‘আবাল’কে গ্রেফতার করেছে। তবে এ বিষয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। আপাতত রসখোয়া পুলিশ ক্যাম্পেই ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন