Harassment Case

‘গভীর রাতে ফোন, অশ্লীল মেসেজ’! দক্ষিণ দিনাজপুরে কলেজশিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ছাত্রীদের

অধ্যক্ষ অভিযোগ পাওয়ার পরই তিনি উচ্চশিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১৭
A complaint was raised against a teacher of Dakshin Dinajpur College for calling female students

—প্রতীকী ছবি।

গভীর রাতে হোয়াটস্‌অ্যাপে ফোন আসে। ফোনের ও পার থেকে ভেসে আসে কলেজের এক শিক্ষকের নানান কুপ্রস্তাব। শুধু তা-ই নয়, অশ্লীল মেসেজ পাঠিয়েও কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন তিনি! এমন অভিযোগ তুলে এ বার সরব হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের সরকারি আইটিআই কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন পড়ুয়ারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ সোমনাথ পাত্র।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত ১ জানুয়ারি। কলেজের প্রথম সিমেস্টারে ভর্তি হয়েছিলেন নতুন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, তার পর থেকেই এক ছাত্রীকে প্রায়ই রাতে হোয়াটস্‌অ্যাপে ফোন করতে থাকেন অভিযুক্ত শিক্ষক। অভিযোগকারিণী যাতে ফোন কল রেকর্ড করতে না পারেন, সেই কারণে হোয়াটস্‌অ্যাপেই ফোন করতেন তিনি। ছাত্রীর আপত্তি গ্রাহ্য করেননি বলেও অভিযোগ। তার পরই কলেজের অন্য পড়ুয়ারাও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন নানা অভিযোগ নিয়ে সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, আগেও ওই শিক্ষক বেশ কয়েক জন ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তাঁদেরও অশ্লীল মেসেজ এবং কুপ্রস্তাব পাঠাতেন বলে অভিযোগ ছাত্রীদের।

অভিযোগকারীদের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বার বার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের দাবি, শুক্রবার অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অধ্যক্ষের কাছেও বিষয়টি জানানো হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পরই অধ্যক্ষের দাবি, সরকারি আইটিআই কলেজে শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থানীয় ভাবে হয় না। তাই অভিযোগ পাওয়ার পরই তিনি উচ্চশিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে। তবে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কারিগরি শিক্ষা দফতর। তবে কলেজের পড়ুয়াদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে যত দ্রুত সম্ভব বরখাস্ত করতে হবে। কলেজে তাঁর ক্লাস করতে রাজি নন পড়ুয়াদের একাংশ।

অভিযুক্ত শিক্ষক অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, যা হয়েছে তার থেকে অতিরঞ্জিত করে ছাত্র-ছাত্রীরা বিষয়টি বলছে। এমন কিছু ঘটনা ঘটেনি। তিনি সকলেরই ভাল চান। সেই কারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন