BJP

Chandana Bauri: আবার বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা, ‘প্রেমিক’ কৃষ্ণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা

ছবিগুলিতে কৃষ্ণের সঙ্গে চন্দনাকেও দেখা যাচ্ছে। ঘনিষ্ঠ হয়েই রয়েছেন দু’জনে। যদিও সেই ছবির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা, বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২২ ১৬:১৪
এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

গাড়িচালক কৃষ্ণ কুন্ডুকে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন বলে গত বছরের অগস্টে অভিযোগ উঠেছিল শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে। এ বার নতুন বিতর্ক চন্দনা ও কৃষ্ণকে ঘিরে। চন্দনার সঙ্গে তাঁর অনেক দিনের প্রেম বলে সেই সময়ে দাবি তোলা কৃষ্ণই ফেসবুকে দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিগুলিতে কৃষ্ণের সঙ্গে চন্দনাকেও দেখা যাচ্ছে। ঘনিষ্ঠ হয়েই রয়েছেন দু’জনে। যদিও সেই ছবির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।

তবে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে কৃষ্ণের পোস্ট করা ছবি। চন্দনার স্বামী শ্রবণ বাউড়ি অবশ্য দাবি করেছেন, এই অন্তরঙ্গ ছবি আসল নয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কথা শুনে দলবদল না করাতেই এই ভাবে ছবি তৈরি করে বিধায়ক চন্দনার বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই বিষয়টাকে ওঁদের ব্যক্তিগত বলেই দাবি করেছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

গত বিধানসভা নির্বাচনে নজর কেড়েছিলেন বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের পদ্ম শিবিরের প্রার্থী চন্দনা। ভোটের প্রচারে রাজমিস্ত্রি পরিবারের গৃহবধূ চন্দনার লড়াইয়ের প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলের মান রেখে ভোটেও জেতেন চন্দনা। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শালতোড়ার বধূ। দুই সন্তানের মা চন্দনা তাঁর স্বামীকে ছেড়ে গাড়িচালক কৃষ্ণকে বিয়ে করেছেন বলে খবর রটে যায়। এক সময় কৃষ্ণও ছিলেন বিজেপি কর্মী। সেই বিয়ে-বিতর্ক নিয়ে পুলিশ তদন্তেও নামে। বিজেপির পক্ষে সেই সময়ে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, এক জন গরিব ঘরের তফসিলি মহিলার চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, কৃষ্ণের পরিবারের পক্ষে বলা হয় দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেম ছিল দু’জনের। চন্দনার কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে কৃষ্ণ নেশার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন বলে দাবি করা হয়। বেশ কিছু দিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি সেই বিতর্ক অনেকটাই আড়ালে চলে গিয়েছিল। নিয়মিত বিধানসভা এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও দেখা যাচ্ছে চন্দনাকে। তারই মধ্যে নতুন করে ভাইরাল ছবি ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ছবি সম্পর্কে জানতে কৃষ্ণকে বার বার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু বলেন, ‘‘এই ছবি সত্যি না মিথ্যা বলতে পারব না। স্বামীর ফোন আমি ধরিও না।’’ অন্য দিকে, চন্দনা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রয়েছেন বলে জানিয়ে কথা বলেন তাঁর স্বামী শ্রবণ। তিনি বলেন, ‘‘এই ছবি সত্যি নয়। অনেক দিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতারা আমাদের উপরে চাপ তৈরি করছেন। ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে, তৃণমূলে যোগ না দিলে বদনাম করা হবে। আমরাও জানিয়ে দিই যে, কোনও ভাবেই আমরা দল বদল করব না। সেই রাগেই এটা করা হয়েছে।’’

এই অভিযোগ শুনে তৃনমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, ‘‘এটা ওঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। ওই বিধায়কের সঙ্গে কার সম্পর্ক আছে কী নেই, তা নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

ফেসবুকেও এই ছবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মন্তব্যকারীদের একটা অংশ এই ছবি পোস্ট করার জন্য কৃষ্ণকেই দুষছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, বিজেপি বিধায়ককে এ ভাবে কালিমালিপ্ত করার জন্য তৃণমূলের কাছ থেকে ‘টাকা খেয়েছেন’ কৃষ্ণ। দীপু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জন কৃষ্ণের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘এই পোস্ট দেখা মাত্র সন্ধ্যা ৭টায় তোমাকে ফোন করলাম। তোমার বউ ধরে বললে, তুমি এখন মদ খেয়ে ঘুমাচ্ছো, ফোন ধরার অবস্থায় নেই। তা হলে আমরা প্রশ্নটা হল, এই পোস্টটা কি তোমার বউ করল? তৃণমূলের কাছে কত টাকা নিয়েছ চন্দনাদিকে কালিমালিপ্ত করার জন্য?’

আরও পড়ুন
Advertisement