Bunkers Found in Nadia

লাল্টু মহারাজের ‘ওয়াটার ড্রাগস’ সাম্রাজ্যে হানা মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থারও! চার বাঙ্কারে আবার তল্লাশি

শুরুটা হয়েছিল শুক্রবার দুপুরে। সেই থেকে টানা ২৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকের খোঁজ পেয়েছে বিএসএফ। এ বার সেখানে হানা দিল এনসিবি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩০
ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে এ বার এনসিবির হানা।

ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে এ বার এনসিবির হানা। —নিজস্ব চিত্র।

শুরুটা হয়েছিল শুক্রবার দুপুরে। সেই থেকে টানা ২৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকের খোঁজ পায় বিএসএফ। উদ্ধার হয় ৬২,২০০ বোতল ‘ওয়াটার ড্রাগস’ বা নিষিদ্ধ ফেনসিডিল। বিরাট এই মাদকচক্রকে সমূলে উপড়ে ফেলতে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। বিএসএফের পর রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে তদন্তে এল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা)।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তদন্তকারী দল। স্থানীয় লাল্টু মহারাজের ওই দুই বিঘা জমির পরিধি ও ভৌগোলিক অবস্থান পর্যালোচনা করেন আধিকারিকেরা। মাদকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতে অন্য কোনও মাদকদ্রব্য মেশানো রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা।

গত শুক্রবার বিশ্বস্ত সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর আসে, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার নঘাটা গ্রামে একটি বাগানে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার তৈরি করে কোটি কোটি টাকার মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে নির্দিষ্ট বাগানে তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাগানে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় তিনটি বাঙ্কার। তল্লাশিতে মেরে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিল। শনিবার পৌনে ৩টে পর্যন্ত চলে তল্লাশি। সব মিলিয়ে খোঁজ মেলে চারটি বাঙ্কারের এবং উদ্ধার হয় ৬২,২০০ বোতল ফেনসিডিল। উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।

রবিবার ওই মাদক উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে গিয়েছে এনসিবি। নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ফেনসিডিলের সঙ্গে অন্য কোনও মাদক মেশানো রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিপুল পরিমাণ মাদকের উৎস খোঁজ করাই তদন্তকারী দলের প্রথম লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন