Live-in Relationship

উত্তরাখণ্ডে আসছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, একত্রবাস গোপন করার ‘অপরাধে’ যুগলের হতে পারে জেলও

উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতে একত্রবাসের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন না করালে, কিংবা কোনও মিথ্যা তথ্য সরকারি নথিতে জানালে জেলও হতে পারে যুগলের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০৫
একত্রবাসের জন্য ‘রেজিস্ট্রেশন’ বাধ্যতামূলক হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। সোমবার থেকেই চালু হবে নতুন নিয়ম।

একত্রবাসের জন্য ‘রেজিস্ট্রেশন’ বাধ্যতামূলক হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। সোমবার থেকেই চালু হবে নতুন নিয়ম। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সোমবার থেকে উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। নতুন বিধি অনুসারে একত্রবাসের জন্য যুগলকে রেজিস্ট্রেশন (যা কিছুটা বিবাহের রেজিস্ট্রেশনের মতো, তবে সম্পূর্ণ আলাদা একটি রেজিস্ট্রেশন) করাতে হবে। নিয়ম না মানলে বা রেজিস্ট্রেশনে কোনও ভুল তথ্য দিলে হতে পারে জেলও। তিন মাসের কারাবাস কিংবা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে যুগলের। কেউ যদি একত্রবাসের রেজিস্ট্রেশন করাতে এক মাসের বেশি দেরি করেন, তা হলেও শাস্তি পেতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিন মাসের জেল কিংবা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়েই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুসারে বিয়ের মতো প্রায় একই ধাঁচের রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে একত্রবাসের জন্যও। একত্রবাসে থাকা যুগল কোনও সন্তানের জন্ম দিলে, তাকে যুগলের সন্তান হিসাবে আইনি বৈধতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নতুন বিধিতে। সূত্রের খবর, উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে যাতে ওই সন্তান সমানাধিকার পায়, তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স থাকবে ২১ বছর, যা আগে থেকেই কার্যকর রয়েছে। নিজ নিজ সম্প্রদায়ের রীতি-রেওয়াজ মেনে বিয়ে করতে পারবেন দম্পতি। তবে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ২১ বছরের কম বয়সি যুগল একত্রবাসে থাকলে, তাঁদেরও প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। ২১ বছরের কম বয়সিদের একত্রবাসের জন্য বাবা-মায়ের সম্মতির প্রয়োজন হবে। বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া একত্রবাসের রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন না ২১ বছরের কম বয়সি যুগলেরা।

বস্তুত, ২০২২ সালে উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফেরার পরেই সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি। উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সে রাজ্যের সরকার। সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল বিলের খসড়া।

Advertisement
আরও পড়ুন