গ্রাফিক: সন্দীপন রুইদাস।
নন্দীগ্রাম মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই আসনে ইভিএম, ভিভিপ্যাট, গণনাকেন্দ্রের ভিডিওগ্রাফি-সহ নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করতে হবে। নন্দীগ্রাম সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারকে নোটিস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে আপাতত এই মামলার শুনানিতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত জানিয়েছে, নন্দীগ্রাম ভোট মামলার শুনানিতে আপাতত আদালতে (ভার্চুয়ালি) হাজিরা দিতে হবে না তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে এ মামলার শুনানি চলাকালীন এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি শম্পা সরকার।
বুধবার নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শুরু হলে মমতার আদালতে হাজিরা থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করেন তাঁর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এই মামলায় অভিযোগকারিণী মমতা গত ২৪ জুন আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়েছিলেন। তবে ফের আদালতে তাঁর হাজিরার প্রয়োজন কি না, তা জানতে চান মমতার আইনজীবী। জবাবে বিচারপতি জানিয়েছেন, এখনই তৃণমূলনেত্রীকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। তবে এই মামলায় যাঁরা পার্টি হিসাবে যুক্ত অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী— তাঁকে নোটিস দিতে মমতার আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে চর্চিত কেন্দ্র নন্দীগ্রামের ভোটপদ্ধতি এবং গণনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা। ওই কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী শুভেন্দুর কাছে অতি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। ওই কেন্দ্রের গণনা নিয়ে এই মামলায় সরাসরি শুভেন্দুর নাম না করলেও কার্যত তাঁর দিকেই কারচুপির ইঙ্গিত করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণে নিরপেক্ষতা বজায় ছিল না। এমনকি, ২ মে ভোটের গণনাকেন্দ্রে একাধিক অনিয়মের অভিযোগও করেন তিনি।
আগামী ১২ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।