শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর পিছনে রহস্য এবং ষড়ষন্ত্র রয়েছে। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। রাজ্য পুলিশ কাছে করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। সেই তদন্তে নেমে এ বার শুভেন্দুর কাঁথির পাড়ায় পৌঁছলেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা।
কাঁথির যেখানে অধিকারীদের বাস, সেই শান্তিকুঞ্জের উল্টোদিকের পুলিশ ব্যারাকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন শুভব্রত। বুধবার সেই ব্যারাকেই ঘণ্টাখানেক কাটান সিআইডি-র গোয়েন্দারা। শুভেন্দুরা সপরিবার শান্তিকুঞ্জেই থাকেন। সিআইডি যখন শান্তিকুঞ্জের সামনের পুলিশ ব্যারাকের ঘটনাস্থলে তদন্ত চালাচ্ছিল, শুভেন্দু তখন বাড়িতে ছিলেন না। তদন্তকারীদের সঙ্গে ব্যারাকে গিয়ে কথা বলেন শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। ঘণ্টাখানেক ওই ব্যারাকে ছিলেন তদন্তকারীরা। সেখানেই দিব্যেন্দু গোয়েন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
২০১৮-র ১৩ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির ওই পুলিশ ব্যারাকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শুভেন্দুর তৎকালীন দেহরক্ষী শুভব্রত। পরের দিন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর গত ৭ জুলাই শুভব্রতকে ষড়যন্ত্র করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে গত সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের সরবেড়িয়া গ্রামে সুপর্ণার বাড়িতে যায় সিআইডি-র ৪ সদস্যের একটি দল। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে তারা সুপর্ণা ও শুভব্রতর দাদা দেবব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পর শুভব্রতর জেঠতুতো দাদা তথা মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গেও কথা বলেন গোয়েন্দারা। ঘটনার দিন তাঁর দেহরক্ষীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা তিলককেই প্রথম ফোন করে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু।
বুধবার দুপুরে প্রথমে কাঁথি থানায় যান সিআইডি-র গোয়েন্দারা। শুভব্রতর সঙ্গে এক কালে কাজ করা শুভেন্দুর অন্য দেহরক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করেন তাঁরা।