ছবি তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফেরার পথে সূর্যাস্তের ছবি তুলেছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। টুইটারে সেই ছবি এবং তার সঙ্গের বক্তব্য নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল। ভাবা হচ্ছিল, দিলীপের ‘সূর্যাস্ত’ আসন্ন। তাঁ তোলা ছবি সেই ইঙ্গিতবাহী। দিলীপ আপাতত জম্মু-কাশ্মীরের লেহ-তে। বুধবার সেখান থেকেই তিনি বললেন, ‘‘কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ভাল কিছু দেখতে পারেন না! সব কিছু নিয়েই বিতর্ক তৈরি করতে চান। আমি ছবি তুলতে ভালবাসি। তাই ছবি তুলেছি। পোস্টও করেছি। সেটা নিয়েও কেউ কেউ রাজনীতি করতে ছাড়ছে না।’’
তাঁর ছবি তুলতে ভাললাগার সাক্ষর হিসেবে লেহ-লাদাখ ভ্রমণের একগুচ্ছ ছবিও আনন্দবাজার অনলাইনকে পাঠিয়েছেন দিলীপ।
শনিবার প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর ও পরে দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক বৈঠক সেরেছেন। এর পরে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার তলব পেয়ে দিল্লি চলে যান রাতে। রবিবার গোটা দিন নড্ডার ডাকের অপেক্ষায় কেটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় হয়েছে বৈঠক। বেশি রাতে কলকাতায় ফিরে মঙ্গলবার ছিল বর্ধমান ও আসানসোলে সাংগঠনিক বৈঠক। আর বুধবার সাতসকালেই দিল্লি হয়ে দিলীপ চলে যান লেহ-লাদাখ।
ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবার বর্ধমান থেকে ফেরার পথে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নিজের মোবাইলে অস্তগামী সূর্যের ছবি তুলেছিলেন দিলীপ। মোবাইলের ক্যামেরা হাতে দিলীপের ছবি তোলার ছবি তোলেন তাঁর সহযোগী। সেই দু’টি ছবি টুইট করে দিলীপ লেখেন, ‘মাঝে মাঝে সূর্যাস্তকেও উপভোগ করতে হয়। কারণ, অস্তাগামী সূর্য বলে দেয় নতুন ভোর হবে।’ সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি-তে সাংগঠনিক রদবদলের যে জল্পনা, তাতে দিলীপের ওই পোস্ট নতুন মাত্রা যোগ করে। শুরু হয়ে যায় জল্পনাও। বুধবার যা শুনে আনন্দবাজার অনলাইনকে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি বরাবরই ছবি তুলতে ভালবাসি। সেই ছবি ভাল হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করি। কাল (মঙ্গলবার) তেমনই একটা ছবি তুলেছিলাম। ভাল লেগেছে বলে পোস্ট করেছি। এর মধ্যেও কেউ রাজনৈতিক বার্তা খুঁজবেন ভাবিনি। রাজনীতি করি বটে। তবে ব্যক্তি মানুষের তো কিছু ভাললাগা থাকে নাকি! এই যে আমি এখন লেহ-তে রয়েছি, এর মধ্যে কিন্তু কোনও রাজনীতি নেই।"
দিলীপ জানিয়েছেন, অনেক দিন থেকেই তাঁর কাশ্মীর ভ্রমণের ইচ্ছা ছিল। প্রথমে ঠিক করেছিলেন, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন অর্থাৎ, ২০২০ সালের ৫ অগস্ট যাবেন। কিন্তু সব ঠিক করেও সেই সফর বাতিল করতে হয়। পরে আরও একবার পরিকল্পান করে আসতে পারেননি লকডাউন চালু হওয়ায়। বিধানসভা ভোট মেটার পরে ইচ্ছা থাকলেও নানা কারণে হচ্ছিল না। এ বার তাই সব পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেও চুপচাপ ছিলেন। ফের বাতিল না হয়ে যায় সফর! ফলে অনেকের কাছে আকস্মিক মনে হলেও তাঁর জম্মু-কাশ্মীর সফ আগে থেকেই পরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন দিলীপ। বলেছেন, ‘‘লেহ-তে দু'দিন থাকব। তার পরে শ্রীনগরে দু’দিন কাটিয়ে দিল্লি ফিরব। ১৯ জুলাই, সোমবার দিল্লি ফিরব। ওই দিন সংসদের অধিবেশন শুরু।’’