Surgery

পেটে অণ্ডকোষ, জটিল অস্ত্রোপচারে প্রা‌ণ রক্ষা যুবকের 

বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বল্প পরিকাঠামোর মহকুমা হাসপাতালে হয় ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় প্রাণ রক্ষা হয়েছে যুবকের।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:০৯
অস্ত্রোপচার সফল।

অস্ত্রোপচার সফল। —ফাইল চিত্র।

মোটরবাইক দুর্ঘটনার পর শরীরে আঘাত তেমন না থাকলেও, বাইক চালক যুবকের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। তারপর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘোরা। শেষ পর্যন্ত পেটে যন্ত্রণার কারণ জানা গেল রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাইক দুর্ঘটনার জেরে যুবকের একটি অণ্ডকোষ ঢুকে যায় তলপেটে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বল্প পরিকাঠামোর মহকুমা হাসপাতালে হয় ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় প্রাণ রক্ষা হয়েছে যুবকের।

তাহেরপুর থানার বীরনগরের বছর বত্রিশের ওই যুবক গত ২২ ডিসেম্বর সকালে মোটরবাইকে চেপে কাজে যাচ্ছিলেন। বীরনগরে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। হাতে, পায়ে সেরকম চোট না লাগলেও দুর্ঘটনার কিছু সময় পর থেকেই শুরু হয় পেটে অসহনীয় যন্ত্রণা। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সেখান থেকে বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও যন্ত্রণার উপসম না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই ধরা পড়ে দুর্ঘটনার কারণে তৈরি হওয়া শরীরের এই জটিল সমস্যা।

যুবকের একটি অণ্ডকোষ পেট থেকে স্বাভাবিক স্থানে নিয়ে যাওয়ার মতো অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো মহকুমা হাসপাতালে ছিল না। তবুও ওই যুবককে কলকাতার বড় সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত না করে স্বল্প পরিকাঠামোতেই একপ্রকার ঝুঁকি নিয়েই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার দিনই সন্ধ্যায় হয় অস্ত্রোপচার।

বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক অরূপ মোহন্ত বলেন, "সাধারণত এই ধরনের সমস্যা হলে তা পরবর্তীতে আরও জটিল হতে পারে। অনেক সময় স্বাভাবিক অবস্থান থেকে অন্ডকোষ অতটা উপরে উঠে গেলে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়। যার ফল খারাপ হতে পারে।" চিকিৎসকের কথায়, "এক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি। বুধবার ওই যুবককে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।"

হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, "এখন সরকারি হাসপাতালে সুযোগ সুবিধা বেড়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া রোগীকে স্থানান্তরিত না করে আমাদের হাসপাতালেই যাতে সুস্থ করে তোলা যায় সেই চেষ্টা করি।" হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই যুবক বলেন, "যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম। বুঝতে পারিনি কী হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেদের তৎপরতায় এ যাত্রায় প্রাণে বাঁচলাম।’’

Advertisement
আরও পড়ুন