শান্তিপুরের হরিপুরে জলে ভেসেছে রাস্তা। সোমবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ
সকলকে স্বস্তি দিয়েই নিয়ন্ত্রণে আসছে ভাগীরথীর জলস্তর। যে সমস্ত এলাকা আগেই নদীর জলে জলমগ্ন হয়েছিল, সেখানেও অবস্থার উন্নতি ঘটছে। রবিবার দিনভর বৃষ্টি হলেও সোমবার আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বরং ছিল চড়া রোদ। রবিবার সকালে ভাগীরথীর জলস্তর একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। তবে সোমবার সকালে জলস্তর আগের ৮.৮৭ মিটার থেকে নেমে দাঁড়ায় ৮.৮৬ মিটারে।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড় বৃষ্টিপাত ছিল ৩৫.৮ মিলিমিটার। সোমবার সকাল পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় তা কমে হয় ১৭.৫ মিলিমিটার। শান্তিপুর, নবদ্বীপ ও নাকাশিপাড়া ব্লকের ভাগীরথী সংলগ্ন নিচু এলাকা আগেই জলমগ্ন হয়েছিল। সে সব জায়গায় এখনও জল থাকলেও জলস্তর কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। চৌধুরীপাড়ার পাশাপাশি হরিপুরের নৃসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড, হাউস সাইট কলোনিতে রাস্তার উপরে জল রয়েছে। আবার কলডাঙা এবং পানপাড়ার সঙ্গে যুক্ত নতুনগ্রামের রাস্তাতেও জল উঠেছে আগেই। বাগআঁচড়ার বাগ্দেবীতলা থেকে লক্ষ্মীনাথপুর হয়ে গয়েশপুর যাওয়ার রাস্তায় জল রয়েছে।
রবিবার টানা বৃষ্টির মধ্যেই হরিপুরের ইসলামপুর এলাকায় একটি কালভার্টের একাংশ ধসে যায়। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় এই রাস্তার উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কালভার্টের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ভারী গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। হরিপুরের প্রধান শোভা সরকার বলেন, “এই কালভার্ট প্রত্যেক বছরই সারানো হয়। তবে এ বারের ভাঙনটা বেশি। পূর্ত দফতরের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি।”
নবদ্বীপের হুলোর ঘাট এবং স্বরূপগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন রাস্তায় জলঙ্গির জল ঢুকেছিল আগে। তার স্তর হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া অন্যত্রও যেখানে নিচু এলাকা বা চাষের জমি জলমগ্ন হয়েছিল সেখানেও জলস্তর নেমেছে। রানাঘাট এবং চাকদহেও ভাগীরথী সংলগ্ন চাষের জমিতে জল ঢুকেছে আগেই। জলের স্তর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সমস্ত জায়গায় ত্রাণ শিবির তৈরি রাখা হয়েছে। প্রস্তুত থাকছে শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য, জরুরি ওষুধ এবং অন্য ত্রাণ সামগ্রী।