—প্রতীকী ছবি।
প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মাসখানেক আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন গৃহকর্তা। এক বাড়িতেই দুই স্ত্রীর সঙ্গে সংসার ছিল তাঁর। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে প্রথম স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয় বলেও অভিযোগ উঠেছিল। বুধবার সেই প্রথম পক্ষের স্ত্রীরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। তাঁকে উদ্ধার করে ডোমকল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। পরে রাস্তাতে মৃত্যু হয় ওই বধূর। এর পরেই স্বামী ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক দুই অভিযুক্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৩ বছর আগে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বর্তনাবাদের আওয়াল শেখের সঙ্গে একই থানা এলাকার রঘুনাথপুরের রেবা খাতুনের বিয়ে হয় । দম্পতির রয়েছে তিন সন্তানও। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে কখনও সে ভাবে অশান্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন পড়শিরা। হঠাৎ এক মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করে আওয়াল। দ্বিতীয় বিয়েকে কেন্দ্র করে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শুরু হয় অশান্তি। প্রথম স্ত্রী রেবাকে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর স্বামী মিলে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে পরিবারের অভিযোগ। মৃতার পরিবারের দাবি, বুধবার সকালে খবর আসে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে রেবার। খবর শুনেই ছুটে যান পরিবারের লোক জন। পরিবারের অভিযোগ, মৃতার শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। একাধিক কালশিটে দাগ রয়েছে গলায় ও মুখে। পথের কাটা সরাতে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে রেবাকে, এমনটাই দাবি তাঁর পরিবারের। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্ত পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মৃতা বধূর কাকা সরফরাজ শেখ বলেন, ‘‘দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই রেবাকে ফেলার হুমকি দিত। ওর স্বামী ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী যৌথভাবে পরিকল্পনা করে ঠান্ডা মাথায় খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’’ মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’