মুর্শিদাবাদের ছয়ঘড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে দখল করল তৃণমূল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা ছয়ঘড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে দখল নিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কংগ্রেসের প্রধান আব্দুস সামাদ এবং সিপিএমের উপপ্রধান রুহুল শেখ-সহ পঞ্চায়েতের সাত জন সদস্য শুক্রবার তৃণমূলে যোগদান করলেন। বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য জুলি খাতুনও তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ আবু তাহের খান, হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডল-সহ অন্যেরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে শাসকদল এ সব করেছে। তৃণমূল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া বিধানসভার ছয়ঘড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল আটটি আসনে জয়লাভ করেছিল। শুক্রবার সাত জন বাম এবং কংগ্রেস সদস্য শাসকদলে যোগ দেন। এখন তৃণমূলের মোট সদস্য ১৫ জন। ফলে ওই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত জানান, এই পঞ্চায়েত এত দিন বিরোধীদের দখলে থাকলেও শুক্রবার থেকে তা তৃণমূলের।
বহরমপুরের কংগ্রেস নেতা মাহফুজ আলম ডালিম পাল্টা বলেন, ‘‘তৃণমূল কখনওই জনমতকে গুরুত্ব দেয় না। তারা এই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে মানে না। মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সদস্যদের ভয় এবং প্রলোভন দেখিয়ে ওরা পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নিয়েছে।’’ কংগ্রেসের অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, ‘‘বিরোধীদের মিথ্যে প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে কিছু লোক অন্য দলে গিয়েছিলেন। উন্নয়নের স্বার্থে তাঁরা আবার তৃণমূলে যোগদান করলেন।’’