— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শিক্ষক শাস্তি দিয়েছেন, কী করব? এক মাস বিয়ে হয়েছে, কিন্তু বিচ্ছেদ চাই, এ ক্ষেত্রে কী করণীয়? টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না প্রতিবেশী, কী ভাবে টাকা আদায় করা যাবে? গত সাত বছর ধরে আট থেকে আশির প্রায় এক কোটি গ্রাহককে এমনই নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছে কেন্দ্রের টেলি ল পোর্টাল! মিলেছে নানা গুরুত্বপূর্ণ আইনি পরামর্শও। আর সবটাই বিনামূল্যে।
জনগণকে তাদের আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে এবং বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৭ সালে কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে টেলি ল পোর্টালটি চালু করা হয়েছিল। সেই পোর্টালের মাধ্যমেই নানা বিচিত্র সমস্যার সমাধান চেয়েছেন ব্যবহারকারীরা! কারও প্রশ্ন, সদ্য বিয়ে হয়েছে বোনের। কিন্তু বিবাহিত জীবন সুখের নয়। বিয়ের এক মাসের মধ্যে কি বিচ্ছেদের আবেদন করা যেতে পারে? কারও প্রশ্ন, ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে ফেরত দিচ্ছেন না প্রতিবেশী। কী ভাবে ওই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে? বাদ যায়নি শিশুরাও! হেল্পলাইনে ফোন করে নানা সমস্যার সমাধান চেয়েছে তারাও। কারও অভিযোগ, বাবা-মা ভালবাসেন না, শাসন করেন বেশি। কারও আবার অভিযোগ রাগী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাদেরকেও যথাসাধ্য সাহায্য করেছে টেলি ল পোর্টাল। তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন পোর্টালের আইনজীবী। অভিভাবকদের কাউন্সেলিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রথমে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রকল্পটি শুরু হয়। পরে পোর্টালের জনপ্রিয়তা দেখে ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারেও উদ্যোগটি চালু হয়। শেষমেশ ২০২১ সালে দেশের ২৪টি রাজ্য এবং ছ’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য পোর্টালটি খুলে দেওয়া হয়। ২০২৪ সালে চালু হয় একটি টোল-ফ্রি নম্বরও। এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১২ বছরের শিশু থেকে শুরু করে চল্লিশোর্ধ অবধি মোট এক কোটি ছয় লক্ষেরও বেশি মানুষ এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে আইনি পরামর্শ চেয়েছেন। তার মধ্যে সমাধান পেয়েছেন এক কোটি চার লক্ষ মানুষ। গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছেন ৪১ লক্ষ মহিলাও।