Murshidabad

আদালতের নির্দেশে পাঁচিল ভাঙার পর বাড়িতে চড়াও তৃণমূল নেতা! মারধরের অভিযোগ জঙ্গিপুরে

নুরুল হোদা নামে এক ব্যক্তির জমিতেই পাঁচিল দিয়েছিলেন প্রতিবেশী। কিন্তু সেই পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ১৪:৩৫
TMC leader was accused of beating up after breaking the wall on the orders of the court in Jangipur

বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।

জোর করে জমিতে পাঁচিল দিয়েছিলেন পড়শি। বার বার বলার পরেও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে আদালতের নির্দেশে সেই পাঁচিল ভেঙেছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশ চলে যেতেই ওই জমির মালিককে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। যদিও পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলাটোলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা নুরুল হোদা। তাঁর জমিতেই পাঁচিল দিয়েছিলেন প্রতিবেশী। কিন্তু সেই পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। অভিযোগ, গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কারু শেখ এবং তাঁর অনুগামীরা নুরুলের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান। মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে খবর, নুরুলের জমি দখল করে পাঁচিল দেওয়ার ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জঙ্গিপুরের আদালতে মামলা করেছিলেন নুরুল। শেষ পর্যন্ত আদালতে জয় পান নুরুল। তাঁর জমিতে থাকা পাঁচিল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মোতাবেক জঙ্গিপুর ফাঁড়ির পুলিশ উপস্থিত থেকে শনিবার সেই পাঁচিল ভেঙে ফেলে। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর দুপুর নাগাদ উপপ্রধানের অনুগামীরা নুরুলের বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ। ভেঙে ফেলা হয় তাঁর ঘরের বেশ কিছু আসবাবপত্র।

নুরুলের পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছু টাকা পয়সা এবং সোনার গয়না লুট করা হয়। মারধরের ঘটনায় নুরুলের পরিবারের দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জঙ্গিপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান নুরুল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নুরুলের আরও অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরে উপপ্রধানের নেতৃত্বে কয়েক বার তাঁর পরিবারের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। নুরুলের এক আত্মীয় রুবিয়া বিবির কথায়, ‘‘আদালতের নির্দেশে আমরা আমাদের জমি বুঝে পেয়েছি। পুলিশ বুঝিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর থেকেই কারু শেখ হামলা চালিয়েছেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।’’ তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান। কারু বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আদালতে নির্দেশের উপরে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এরা আমাকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসাতে চাইছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement