প্রতীকী চিত্র।
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচারে ঝাঁপিয়েছিলেন। দেওয়াল লেখা থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। গত ১৯ এপ্রিল দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করতে গিয়েই ‘হিট স্ট্রোক’-এ আক্রান্ত হন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি পরেশনাথ মণ্ডল। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছিল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থা স্থিতিশীল হলে শুক্রবার বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু, শনিবার আবার অসুস্থ বোধ করলে পরেশকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় ৫৪ বছরের ওই তৃণমূল নেতার। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলার শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি ছিলেন পরেশনাথ। নবগ্রাম বিধানসভা এলাকার দলের মূল সংগঠক ছিলেন তিনি। গত ১৯শে এপ্রিল পাঁচথুপি এলাকায় দেওয়াল লেখার সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন পরেশ। প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচথুপি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সপ্তাহখানেক চিকিৎসা চলার পর পরেশকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেন চিকিৎসকেরা। পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, বাড়ি ফিরে শনিবার দলীয় প্রচারে অংশও নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন পরেশ।
মৃত তৃণমূল নেতার আত্মীয় সুখময় দাস বলেন, ‘‘দলের দেওয়াল লেখার সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় পরেশ। হাসপাতাল থেকে সম্পূর্ণ বিশ্রামের কথা বলে ছুটি দেয়। বাড়ি ফিরে আবার ভোটের প্রচারে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করে ও। তার পরেই মৃত্যু হয়েছে।’’ নেতার মৃত্যুতে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খলিলুর বলেন, ‘‘পরেশের মৃত্যুতে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হল। নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওঁর মতো বলিষ্ঠ সংগঠককে দলের ভীষণ প্রয়োজন ছিল।’’