প্রতীকী ছবি।
নিজেরই বড় ছেলের মারে মৃত্যু হল বাবার।মৃতের নাম নিধু মণ্ডল (৬০)।মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জিয়াগঞ্জ থানা এলাকার আজিমগঞ্জ জখিরাবাগে। ঘটনার পর থেকে পলাতক মৃতের বড় ছেলে উত্তম মণ্ডল ও তার স্ত্রী জ্যোৎস্না মণ্ডল।যদিও এবিষয়ে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত নিধু মণ্ডলের স্ত্রী মারা গিয়েছে বছর দুয়েক আগে। তিন ছেলে দুই ছেলের বৌ ও নাতি নাতনি নিয়ে সংসার নিধুর। তার সঙ্গে তার ছেলেরাও কৃষিকাজের সঙ্গেই যুক্ত। নিধুর মেজো ছেলে নির্মলের এখনও বিয়ে হয়নি সে অসুস্থতায় ভুগছে। দিন কয়েক লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তিও ছিল। গত শনিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পেরে বাড়ি ফেরে সে।
নিধুর ছোটো ছেলে অমল মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার নিধুর এক প্রতিবেশী বাড়ির ছাদ ঢালাই করে। সেই নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করেন ওই প্রতিবেশী। ওই প্রতিবেশীর বাড়িতেই সকলে ছিল ওই সময় বাড়িতে উত্তম তার স্ত্রী এবং অমলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল ছিল। অমল বলছেন, ‘‘আমরা তখন বাড়িতে ছিলাম না হঠাৎই পাড়ার একজন আমাদের জানায় দাদা বাবাকে খুব মারধর করছে বাঁশ দিয়ে। শুনে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি বাবা পড়ে আছে দাদা বৌদি কেউ বাড়িতে নাই। আমি কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে অভিযোগ জানাতে পারিনি। সব সেরেই পুলিশে অভিযোগ জানাবো।’’ কিন্তু হঠাৎই এমন কেন? সকলেই জানাচ্ছেন মাস কয়েক থেকে জমিজায়গার বিষয় নিয়ে নিধুর সঙ্গে উত্তমের একটু মনমালিন্য চলছে। দিন কয়েক আগে বাবা ও ছেলের সেই ঝামেলা প্রকাশ্যেও আসে। সেই সময় প্রতিবেশীরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মঙ্গলবার রাতে ফের জমিজায়গার বিষয় নিয়েই বাবা ছেলের ঝামেলা শুরু হয় বলেই দাবি পরিবারের। অভিযোগ, ঝামেলার সময় কথা কাটাকাটি চলছিল ওই সময় হাতের সামনে থাকা একটি বাঁশ নিয়ে হঠাৎই সজোরে নিধুর মাথায় মারে উত্তম। তারপর নিধু মাটিতে পড়ে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করে উত্তম। উত্তমের মারের হাত থেকে রেহাই পায়নি অসুস্থ নির্মল ও অমলের স্ত্রী লিপিকা। নিধুর প্রতিবেশী ভক্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে দেখি নিধু পড়ে আছে উঠানে লিপিকা হাউমাউ কটে কাঁদছে।"
এদিন লালবাগের এসডিপিও বিক্রম প্রসাদ বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’