BSF

চোপড়ার পর চাপড়া, এ বার বিএসএফ কর্মীর কন্যাকে পিষে দিল বাহিনীরই গাড়ি! দায়ের অভিযোগ

উত্তর দিনাজপুরে চোপড়ায় চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাপ বাড়ছে বিএসএফের উপর। তার পরে নদিয়ার চাপড়ার এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। বিএসএফের গাড়িচালকের শাস্তির দাবি করেছে নিহতের পরিবার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০১

—প্রতীকী চিত্র।

সদ্য সীমান্তের ডিউটি শেষ করে ঘরে ফিরেছেন মা। তাঁর সঙ্গে দেখা করেই ঠাকুমাকে নিয়ে বাড়ির সামনের সরস্বতী পুজোর প্যান্ডেলে যাচ্ছিল সাত বছরের কন্যা। ঠিক তখনই একটি বিএসএফের পিকআপ ভ্যান পিষে দিল শিশুটিকে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে চাপড়া ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ নিয়ে চাঞ্চল্য নদিয়ার চাপড়ায়। বস্তুত, উত্তর দিনাজপুরে চোপড়ায় চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাপ বাড়ছে বিএসএফের উপর। তার পরে চাপড়ার এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম আরোহী সিংহ হাজারি। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। বিএসএফের একটি সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার জেলার সোনামুখী ব্লকের বাসিন্দা রিঙ্কু পাতিদার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৮২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের হৃদয়পুর বর্ডার আউট পোস্টে কর্মরত। বিএসএফের সেক্টর হেডকোয়ার্টার সীমানগরে একটি বাড়ি ভাড়া করে সপরিবারে থাকেন রিঙ্কু।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার সময় কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন ওই মহিলা বিএসএফ কর্মী। তিনি জানান, তখন বাবা আর ঠাকুমার সঙ্গে খেলছিল মেয়ে। তিনি বাড়ি ফিরতেই ঠাকুমাকে নিয়ে বাড়ির সামনে ঠাকুর দেখতে বার হয় সে। তার পরই ওই দুর্ঘটনা। রিঙ্কুর কথায়, ‘‘শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার শিফট্ ছিল। বাড়ি ফিরে দেখি, মেয়ে ঘরে খেলছে। আমার সঙ্গে দেখা করে ওর ঠাকুমাকে নিয়ে রাস্তার সামনে ঠাকুর দেখতে যায়। আর তার পরই...।’’ কথা শেষ করতে পারেননি রিঙ্কু।

অভিযোগ উঠেছে, রিঙ্কুর সঙ্গে একই ব্যাটেলিয়নে কর্মরত বিএসএফের গাড়ির চালক সঞ্জীব কুমার মত্ত অবস্থায় পিকআপ ভ্যান চালাচ্ছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। বিএসএফ কর্মী রিঙ্কু অভিযোগ, ‘‘মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে সঞ্জীব কুমার আমার মেয়েকে পিষে দিয়েছে। আমিওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’ যদিও এখনও এই ঘটনায় গ্রেফতারির কোনও খবর নেই।

চোপড়ায় শিশুমৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই ঘটনায় চাপ বাড়িয়ে চলেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা রায় জানান, বিএসএফ তাদের দোষ কবুল করেছে। ওই ঘটনায় চোপড়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতেই এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করায় ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা এখন দুই। তার মধ্যে এই ঘটনায় চাপে বিএসএফ। ওই ঘটনায় এখনই সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি বিএসএফ। অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement