রানাঘাটে ধৃত ১১ জন। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভুয়ো সিম ব্যবহার করে সাইবার প্রতারণার তদন্তে বড় সাফল্য পেল রানাঘাট পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা দু’দিন ধরে রানাঘাট-সহ নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, গ্রাহকের অজান্তেই তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে ভুয়ো সিম তৈরি করেছিলেন তাঁরা। পরবর্তী কালে সেই সিমগুলি ব্যবহার করেই একাধিক সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
রানাঘাটের ঘটনায় ধৃতদের সঙ্গে রাজস্থান ও ঝাড়খণ্ডের সাইবার প্রতারণা চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতেরা সকলেই কোনও না কোনও মোবাইলের দোকানে কাজ করেন কিংবা সিম কার্ড বিক্রি করেন। তদন্তকারীদের দাবি, কেউ নতুন সিম কার্ডের জন্য আবেদন করলে সেই গ্রাহকের তথ্য ব্যবহার করে আরও একটি জাল সিম বার করা হত। সেই সিমকার্ড পৌঁছে যেত সাইবার প্রতারকদের কাছে। তার পর ওই সিমগুলি ব্যবহার করেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটানো হত।
এমনই কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে প্রথমে ১১ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেন রানাঘাট পুলিশের সাইবার শাখার তদন্তকারীরা। এর পর দু’দিন ধরে কল্যাণী, মাঝেরচর, কুপার্স ক্যাম্প, তাহেরপুর, শান্তিপুর, ধানতলা, হরিণঘাটা-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রাহকের অজান্তে তাঁর নামে সিমকার্ড তৈরি করার ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ভুয়ো সিমচক্রের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেছেন, ‘‘সাইবার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে ধৃতদের কী যোগসূত্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ধরনের কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের সকলকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’