New Mother Dies in Bolpur Hospital

বোলপুর হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুতে উত্তেজনা, গাফিলতির অভিযোগ, বিক্ষোভ পরিজনদের

জন্ম দেওয়ার পর ওই অবস্থাতেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে অবহেলায় ফেলে রাখা হয় তাঁকে। রাতেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এর পরেই নার্সদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনেন তরুণীর পরিজনেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৯
উত্তেজনা বোলপুরের হাসপাতালে।

উত্তেজনা বোলপুরের হাসপাতালে। — নিজস্ব চিত্র।

প্রসূতিমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ চলল হাসপাতাল চত্বরে।

Advertisement

মৃতা প্রসূতির নাম ফেন্সি ঘোষ। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ফেন্সিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা তাঁর স্বাভাবিক প্রসবের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর শিশুটি সুস্থ থাকলেও প্রসূতির শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হতে শুরু করে। অভিযোগ, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ওই অবস্থাতেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে অবহেলায় ফেলে রাখা হয় তাঁকে। রাতেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এর পরেই নার্সদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনেন তরুণীর পরিজনেরা। পরিবারের দাবি, চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করে চলে গেলেও নার্সদের অবহেলার কারণেই ফেন্সির মৃত্যু হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত নার্সদের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পৌঁছন বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। তাঁরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

মৃতার শাশুড়ির কথায়, চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা ছিল ওই তরুণীকে। সে সময়ে অবহেলা এবং ভুল চিকিৎসার কারণেই তাঁর পুত্রবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, এক নার্স একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকেই ফেন্সির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে শুরু করে। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার সদ্যোজাত সন্তান সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।

ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার দীপাকর সর্দার জানিয়েছেন, ঘটনায় চার জনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সময়ে কর্তব্যরত নার্স বা চিকিৎসকদের যদি কোনও রকম গাফিলতি ধরা পড়ে, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন