দূরত্ব বিধি শিকেয়। কৃষ্ণনগরে পোস্ট অফিস মোড়ে। নিজস্ব চিত্র।
হ্যাটট্রিক করে ক্ষমতায় ফেরার পর দলের প্রথম বড় কর্মসূচি হল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটালেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কোথাও শামিয়ানা টাঙিয়ে, কোথাও বা ঘরের মধ্যেই বড় স্ক্রিনে দলনেত্রীর বক্তব্য শোনানোর ব্যবস্থা হল। মাস্কের ব্যবহার থাকলেও মানা গেল না দূরত্ব বিধি। নেত্রীর বক্তৃতা সাধারণের কর্ণগোচর করতে বেশির ভাগ জায়গাতেই রাস্তায় মাইক বা সাউন্ডবক্স দেওয়া হয়েছিল। আগে কী ভাবে ট্রেনে-বাসে দল বেঁধে শহীদ দিবসে কলকাতা যাওয়া হত, তার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন নেতাকর্মীরা।
ফুলিয়ায় জনরঞ্জন কেন্দ্রের মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ব্যবস্থা ছিল জায়ান্ট স্ক্রিনের। ফুলিয়াপাড়ায় এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা শামিয়ানা টাঙিয়ে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, সহ সভাধিপতি দীপক বসুর উপস্থিতিতে সেখানে বাবলা পঞ্চায়েতের এক সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। নবদ্বীপ শহরেও সমস্ত ওয়ার্ডেই শহিদ বেদিতে মাল্যদান হয়। কল্যাণী, হরিণঘাটা, বীরনগর সর্বত্রই সমাবেশ হয়েছে। বীরনগরের পুর প্রশাসক পর্ষদের সদস্য গোবিন্দ পোদ্দারের উদ্যোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চারাগাছ বিতরণ হয়।
কালীগঞ্জে যুব তৃণমূলের তরফে থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মঞ্চ বেঁধে টিভি লাগানো হয়েছিল। তবে তেহট্টে কোথাও জায়ান্ট স্ক্রিন ছিল না। কৃষ্ণনগরের দুই জায়গায় আলাদা সভা করে তৃণমূল ও যুব তৃণমূল আলাদা অনুষ্ঠান করে। শান্তিপুর শহরের ডাকঘর মোড়ে এবং মোতিগঞ্জ মোড়েও শামিয়ানা টাঙিয়ে নেত্রীর বক্তৃতা শোনানোর ব্যবস্থা হয়। সেখানে আবার ছিলেন না অজয় দে-র ঘনিষ্ঠেরা। দলের দফতরে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন তাঁরা।
এ দিন প্রায় সর্বত্রই মাস্কের ব্যবহার দেখা গিয়েছে। কিন্তু বড় পর্দায় বক্তৃতা দেখানোর জায়গায় বা শহিদ বেদিতে মাল্যদানের পর যেখানে স্থানীয় এবং জেলা নেতৃত্ব বক্তৃতা করেন, সেখানে দুরত্ব বিধি কার্যত মানা হয়নি। ভার্চুয়াল সভা দেখার জায়গাতেও চেয়ার ছিল ঘেঁষাঘেঁষি করেই।
ভিড় এড়াতে রানাঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় শহীদ দিবস পালন করা হয়। চাকদহ সম্পীতি মঞ্চে পঞ্চাশ জনের অনুমতি ছিল। সেই কারনে বারবার নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে। মঞ্চের বাইরে একটা জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মঞ্চের ভিতরে উপস্থিত কর্মীদের একটা করে চেয়ার বাদ দিয়ে বসার জন্য কথা বলা হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, “৫০ জনের মধ্যে সীমিত রেখেই কর্মসূচি করা হয়েছে। কোভিড বিধি মানায় জোর দেওয়া হয়েছে সর্বত্র।”